ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এরশাদুল আহমেদের বদলি বাতিল ও পুন: বহাল রাখার দাবিতে হালুয়াঘাট উপজেলায় চলছে কমপ্লিট শাটডাউন। আজ (৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই পৌরশহরের সকল দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি রাস্তাঘাটে অবস্থান নিয়েছে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। প্রয়োজনীয় জরুরী যানবাহন ব্যতীত সকল যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।
সকাল থেকে উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করছে উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী জুলকার নাঈম, তোফায়েল আলম, মোশারফ হোসেন, প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক খালিদ আহমেদ শামছুল আলম পনির, হাজী কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান প্রমূখ।
রবিবার একই দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে ইউএনওর বদলি আদেশ প্রত্যাহার না করলে, সোমবার থেকে সমগ্র উপজেলায় কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা দেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বালু মহলে নৈরাজ্য রুখে দেওয়া, সীমান্তে চোরাচালান রোধে কঠোর অবস্থান, রাস্তাঘাট প্রশস্ত করণ, বাসস্ট্যান্ডকে আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা, সিএনজি ও মাহিন্দ্রের জন্য আলাদা জায়গা করে দেওয়া, পৌর শহরে যানজট নিরসনে ইউএনওর ভূমিকা উপজেলায় ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। যা গত ১৬ বছরে কোন রাজনৈতিক নেতাদের দ্বারা সম্ভব হয়নি। উনার এমন কাজ কিছু নেতার পছন্দ না হওয়ায়, উপর মহলে তদবির করে উনার মত একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তাকে উপজেলা থেকে বদলি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। বক্তারা আরো বলেন, যদি আজকের মধ্যে উনার বদলি আদেশ প্রত্যাহার না করা হয়, মঙ্গলবার থেকে আরো কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের দুই মাসের মাথায় গত ৫ ডিসেম্বর সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো এরশাদুল আহমেদকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়। উনার বদলির খবর শুনার পর থেকে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।