বাগেরহাট সদরের রনবিজপুর এলাকার একটি পরিত্যক্ত ডোবা থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার (১১ ডিসেম্বর ) সকালে এলাকার মোহাম্মদ আলীর মেয়ে নার্গিস বেগমের ঘরের পিছনের পরিত্যক্ত ডোবায় মরদেহটি ভাসতে দেখে তারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট ২৫০ বেড হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
খবর পেয়ে স্বজনেরা এসে শনাক্তের পর পুলিশ নিশ্চিত করেছে মরদেহটি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার কমলাপুর গ্রামের মোহাম্মদ হান্নান মাতুব্বরের ছেলে মো. উজ্জল মাতুব্বরের (২৮)। হযরত খানজাহানের (রহ:) মাজার শরীফের ওরশে যোগ দিতে এসে দরগা এলাকার একটি বাড়ীতে পরিবারসহ অবস্থান নিয়ে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন উজ্জল মাতুব্বর।
নিহতের ভাই বলেন, দুইটি বাসে ১২০ জনের মত লোক খান জাহান আলীর মাজারে এসে ওরসে অংশগ্রহণ করে। তারা যমুনা বেগমের বাড়ির খানকায় অবস্থান নেয়। বুধবার সকাল ১০:৩০ টার দিকে যমুনা বেগম তাকে ফোন দিয়ে বলে তার ভাইয়ের লাশ পাওয়া গেছে, ঘটনাস্থলে পুলিশ এসেছে। তবে আমার নাম বলবেন না, আমাকে পুলিশের কাছে ফাসিয়ে দিবেন না। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন নিহাতের ভাই। তবে ঘটনার পর যমুনা বেগমকে তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।
বাগেরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, উজ্জল মাতুব্বর সোমবার হযরত খানজাহানের (রহ:) মাজার শরীফের ওরশে অংশগ্রহণ করতে গোপালগঞ্জের মকসুদপুর থেকে এসে দরগা এলাকার একটি বাড়ীতে পরিবারসহ অবস্থান করে। মঙ্গলবার সকাল থেকে সে নিখোঁজ ছিল। বুধবার সকালে বাগেরহাট সদরের রনবিজপুর এলাকার একটি পরিত্যক্ত ডোবা থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে দরগা শরীফে থাকা তার স্ত্রী, মা, ভাইসহ স্বজনেরা এসে মরদেহটি উজ্জল মাতুব্বরের বলে শনাক্ত করে। মরদেহ উদ্ধারের পর থানা পুলিশ ছাড়াও পিবিআই, সিআইডিসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মৃত্যুর সঠিক কারন জানতে মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট ২৫০ বেড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।