শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী গারো পাহাড় গজনী অবকাশ পর্যটন কেন্দ্র প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর নান্দনিক কারুকাজে নতুন রূপ পেয়েছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলায় গারো পাহাড়, নদী আর ঝরণায় গড়ে ওঠা এ পর্যটন কেন্দ্র এখন অনেকটাই তার রূপ বদলে দিয়েছে। সেই সাথে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন ভ্রমণপিপাসুদের ঢল নামছে।
ইতোমধ্যে পাহাড়ি সৌন্দর্যের সাথে যোগ হয়েছে কৃত্রিম ভাবে নির্মাণ করা অবকাঠামো আর মনোমুগ্ধকর নানা ভাস্কর্য বিনোদনের অনেক কিছু। পর্যটকরাও বলছেন, আগের তুলনায় অনেকটাই বদলে গেছে গজনী অবকাশ । সম্প্রতি উদ্বোধন করা হয়েছে গজনী অবকাশের লেকে দৃষ্টিনন্দন ভাসমান সেতু, লেকের পাশে সুবিশাল ওয়াটার কিংডম ও একটি প্যারাট্রবা (চরকি)। এছাড়া ঝুলন্ত ব্রিজ, ক্যাবল কার, জিপলাইনিং তো রয়েছেই। চোখে পড়ার মতো সব কিছু দেখে মুগ্ধ পর্যটকরাও।
সম্প্রতি সরেজমিন ঘুরে পর্যটক, ইজারাদার, দোকান মালিক ও প্রশাসনের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য।
জানা যায়, শেরপুর জেলা শহর থেকে গজনী অবকাশ কেন্দ্রের দূরত্ব মাত্র ৩০ কিলোমিটার। বাস ও মাইক্রোসহ যে কোনো যানবাহনে আসা যায় এই অবকাশে।
মায়াময়ী এ সৌন্দর্যের অবকাশ কেন্দ্রটি ১৯৯৩ সালে ৯০ একর জমিতে গড়ে তোলে জেলা প্রশাসন। নির্মাণের পর থেকেই প্রতি বছর জীবনের ব্যস্ততাকে পেছনে ফেলে এখানে ছুটে আসেন লক্ষাধিক পর্যটক। গজনী অবকাশ ঘেঁষা উত্তরে মেঘালয় রাজ্যের
পোড়াকাশিয়া। অবকাশের চারিদিকেই ছোট বড় অসংখ্য টিলা। প্রতিটি টিলা যেন সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি। অবকাশে যেন অবারিত সবুজের সমারোহ। কত যে মনোমুগ্ধকর না দেখলে হয়তোবা বিশ্বাস হবে না।
গারো পাহাড়ের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন গজনী অবকাশ। এখানকার দৃশ্যগুলো যে অবলোক করেছে, সে অনুভব করতে পেরেছে। কেউ একবার এলে বার বার তাকে আসতে মনকে নাড়া দেবে। এখানে প্রতিদিন আবেগতাড়িত হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটছে। জমে ওঠেছে পর্যটন কেন্দ্র গজনী অবকাশে