কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদে টানা ৮ দিন গিয়েও পরিষদে পাওয়া যায়নি ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম কে।পরিষদের বারান্দায় ঘোরাফেরা করছেন গুটিকয়েক মেম্বার, গ্রামপুলিশ ও জনগণ। এতে করে ভোগান্তিতে পরছেন সেবা নিতে আসা ইউনিয়নবাসী।
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদে মঙ্গলবার ( ২৪ ডিসেম্বর) এমন দৃশ্য দেখা যায়। অথচ সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন পরিষদ চত্বরে থাকত উপচে পড়া ভিড়। আর কাজে ব্যতিব্যস্ত সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে পরিষদে সেবা নিতে আসা অনেকই জানান, জন্ম নিবন্ধন, ব্যবসায়িক ট্রেড লাইসেন্সে, চারিত্রিক সনদপত্র, ভূমিহীন সনদপত্র, ওয়ারিশান সনদপত্র, অবিবাহিত সনদপত্র, প্রত্যয়ন পত্র, অসচ্ছল প্রত্যয়ন পত্র, নাগরিক সনদপত্র, উত্তরাধিকার সনদপত্র এসব সেবা থেকে বঞ্চিত ইউনিয়ন বাসী। অনেকেই পরিষদে ঘুরছেন তার স্বাক্ষর এর জন্য কিন্তু চেয়ারম্যান না থাকায় প্রতিদিনই ফিরে যাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার চেয়ারম্যানের বাড়িতে গিয়ে স্বাক্ষর নেন। অনেকে রাস্তায়ও দেখা পেলে স্বাক্ষর নিয়ে থাকেন তাহলে জানা যায়।
গত মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে পরিষদের সচিব মো. মোস্তাফিজার রহমান বলেন, চেয়ারম্যান মাঝে মধ্যে পরিষদে আসেন আধা ঘন্টা এক ঘন্টা থেকে আবারো চলে যান। তিনি আরো বলেন, পরিষদের অনেকে এসে ফিরে যাচ্ছেন এতে অনেকটা চরমে ভোগান্তিতে করছে সাধারণ মানুষ।
জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম ইটভাটা ব্যবসায়ী, সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ মারা যাওয়ার পর উপনির্বাচনে ভোট হলে জয়ী হোন শামসুল আলম। ভোটে জয়ী হওয়ার পর কিছুদিন প্রতিদিনই পরিষদে আসতেন সেবাও পেতেন সাধারণ মানুষরা। ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর থেকে পরিষদে তিনি কম আসেন বলে জানান স্থানীয়রা। পরিষদে এলেও আধা ঘন্টা এক ঘন্টা থেকে তার ইচ্ছা মত বের হয়ে যান। এছাড়া মুঠোফোনে তার চেষ্টা করেও তাকে ফোনেও পাওয়া যায় না।চেয়ারম্যান পরিষদের না আশায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কার্যক্রম। চরম ভোগান্তিতে সাধারণ জনগণ বলে অভিযোগ করেন ইউনিয়ন বাসীরা।
সরেজমিনে ৮ দিন ও মুঠোফোনে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলমের সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে কথা বলার সম্ভব হয়নি।
বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বললেন, চেয়ারম্যান অফিসে উপস্থিত থাকে না বিষয়টি আমাকে জানানো হয়নি। বিষয়টি দেখতেছি।