খুলনার কয়রা উপজেলার কপোতাক্ষ নদের কোলঘেঁষে অবস্থিত ৬ নম্বর উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাটমার চরের পশ্চিম হাজতখালী গ্রাম। ২০২০ সালের ২০ মে, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে গ্রামের একমাত্র প্রধান রাস্তা নদীভাঙনে সম্পূর্ণরূপে বিলীন হয়ে যায় দেওয়ানখালি খালের মধ্যে। কিন্তু আজও ওই রাস্তার পুনঃনির্মাণ হয়নি।
গ্রামটিতে বেশিরভাগই হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন, যাদের মধ্যে শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার স্থানে স্থানীয় সরকারের সহযোগিতায় অস্থায়ীভাবে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হলেও সেটিই এখন একমাত্র ভরসা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আম্পানের পর বিভিন্ন সময় রাস্তা পুনঃনির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে, দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তিতে রয়েছে এলাকাবাসী।
শেখ ইউনুছ আলী নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “দুর্যোগ পেরিয়ে গেছে অনেক আগেই, কিন্তু আমাদের কষ্টের পথটি এখনো ঠিক হয়নি। সেই আম্পানে নদীর বাঁধ ভেঙে রাস্তা হারিয়ে যাওয়ার পর থেকেই আমরা বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছি। বিশেষ করে গর্ভবতী নারী, বৃদ্ধ বা প্রতিবন্ধীরা গুরুতর অসুস্থ হলে চিকিৎসা পাওয়াটা হয়ে পড়ে দুঃসাধ্য।”
তিনি আরও জানান, শত শত শিক্ষার্থী প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হয়ে পশ্চিম হাজতখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে। পাশাপাশি, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দুর্গা মন্দির, হরি মন্দির এবং কাশির হাটখোলা বাজারে যাওয়া-আসায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি, দ্রুত যেন রাস্তা পুনঃনির্মাণ করা হয়। এতে হাজারো মানুষ উপকৃত হবে এবং একটি জনপদের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান ঘটবে।