ঈদুল আজহার আর মাত্র ৩ দিন বাকি। এরই মধ্যে জমে উঠেছে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পশুর হাটগুলো। বেড়েছে গরু, ছাগলসহ কোরবানি পশুর সরবরাহ। তবে বেচাকেনা এখনো কম। ক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর পশুর দাম বেশি। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, গো-খাদ্যের দামের কারণে কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে কোরবানির পশু।
উপজেলার কয়া ইউনিয়নের খামারি গোলাম রহমান বলেন, ‘আমার খামারে কোরবানির জন্য প্রায় ১০০ দেশি গরু প্রস্তুত করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই অর্ধেক গরু বিক্রি হয়ে গেছে। যারা হাটে-হাটে ঘুরে পশু কিনতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না এমন ক্রেতাই বেশি আসছেন। খামারে ঘুরে পশু পছন্দ হলেই বুকিং দিয়ে রাখছেন।
বুধবার ৪ জুন দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার আলাউদ্দিননগর হাটে কোরবানির পশুর ব্যাপক সরবরাহ এলেও বেচাকেনা কমই হচ্ছে। তবে দূর-দূরান্ত থেকে ব্যাপারিরা গরু-ছাগল নিয়ে আসলে অনেক ভোগান্তি হতে পারে । বর্তমান হাটে যেসব গরু-ছাগল পাওয়া যাচ্ছে তা স্থানীয়ভাবে লালনপালন করা।
হাটে আসা ক্রেতা বেলাল হোসেন বলেন, ‘১৫ কেজির মতো মাংস হবে, এমন খাসি ১৩/১৪ হাজার টাকার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে।’ তবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায় নিয়ে অসন্তুষ্টি রয়েছে। এ বিষয়ে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিকাইল ইসলাম জানান, সরকার নির্ধারিত রেটের চেয়ে অতিরিক্ত হারে খাজনা আদায় করা যাবে না। এ বিষয়ে প্রমাণসহ অভিযোগ পেলে জরিমানাসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আলমগীর হোসেন বলেন, উপজেলার ছোট-বড় খামারিরা কোরবানির জন্য প্রায় দুই হাজার ৪০০টি পশু প্রস্তুত করেছেন। এর মধ্যে গরু সাড়ে ১৫ হাজার এবং ছাগল-ভেড়া সাড়ে ৮ হাজার। উপজেলায় কোরবানির পশুর মোট চাহিদার তুলনায় উৎপাদন প্রায় ৪ হাজার বেশি।
কুষ্টিয়া জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আল মামুন হোসেন মণ্ডল দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘জেলায় এবার দুই লাখ পশু কোরবানি জন্য প্রস্তুত। আমাদের চাহিদার তুলনায় ৭০-৭৫ হাজার পশু বেশি রয়েছে। গরুকে দানাদার খাদ্য ও কাঁচা ঘাস খাওয়াতে খামারিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ভিটামিন খাওয়াতে বলা হচ্ছে।’ এছাড়া নিষিদ্ধ রাসায়নিক ও হরমোনের ওষুধ খাওয়ানো থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।