বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)' র ঘোষিত প্রাথমিক মনোনয়ন প্রাপ্ত নারায়ণগঞ্জ -৫ আসনের প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুূদ নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়লেন।সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভার নামে একটি অনুষ্ঠানে তিনি নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
১৬ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে মাসুদুজ্জামান মাসুূদ ওই ঘোষণা দেন।
বিএনপির তিনশ আসনের জন্য প্রথম দফায় ঘোষিত ২৩৭ জনের মধ্যে মাসুদুজ্জামান মাসুূদ আগামী জাতীয় নির্বাচনের একজন প্রার্থী। তিনি নারায়ণগঞ্জ - বন্দর আসনের ধানের শীষের প্রার্থী হন।তিনি নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার আগে এবং পরে গতকাল মঙ্গলবার সকালেও দুইটি কর্মসূচীতে অংশ নেন।তিনি চাষাঢ়াস্হ প্রেসক্লাবে দুপুরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় উপস্হিত হয়ে বলেন, আমি পরিবার থেকে বিদায় নিয়ে রাজনীতিতে এসেছিলাম।বিএনপির অনেক আগ্রহী থাকলেও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাকে নারায়ণগঞ্জ -৫ আসনে আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে প্রাথমিক ভাবে মনোনয়ন দেন।আমি প্রচারনায় ছিলাম।কিন্তু পরিবারের সদস্যরা আমাকে প্রার্থীতা থেকে সড়ে দাঁড়াতে বারবার চাপ দিচ্ছিলো। ওই কারনে আমি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করলাম।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মাসুদুজ্জামান মাসুূদ বলেন, আমি আমার জীবন নিয়ে শংকিত না।আমাকে পরিবর্তনের দলীয় কোন আভাস নেই।এরপরও আমি নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ালাম।তিনি বলেন, দল যাকে মনোনয়ন দিবে আমরা তার সাথে মিলে মিশে নির্বাচনী কাজ করবো।তিনি বলেন, নির্বাচনী মাঠে এতো দিন যে সব ওয়াদা করেছি - তা পূরন করবো।
উল্লেখ্য যে, নারায়ণগঞ্জ -৫ আসনে দল মাসুদুজ্জামান মাসুদকে মনোনয়ন দিলেও স্হানীয় নেতাকর্মীদের বিরাট একটি অংশ গতকাল পর্যন্ত বিরোধিতায় সরব ছিলো।মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক সংসদ সদস্য এড. আবুল কালাম, সাবেক মেয়র প্রার্থী এড. শাখাওয়াত হোসেন খান, নারায়ণগঞ্জ কলেজের সাবেক ভিপি আবুল কাউসার আশা, শিল্পপতি আবু জাফর আহমদ বাবুলকে দলীয় কর্মসূচি ছাড়াও বিদ্রোহ মূলক কর্মসূচীতে গতকালও সরব দেখা গেছে।