দেশে সব পাবলিক
বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে আসন তা
প্রতিবছর এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-ফাইভ
পাওয়া শিক্ষার্থীর তুলনায় খুব কম। সেক্ষেত্রে অনেকে মেধাবী এইচএসসি শিক্ষার্থী পাবলিক
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ
পান না। এ কারণে সবাইকে গণহারে
গতানুগতিক উচ্চশিক্ষার পেছনে না ছুটে, কারিগরি
শিক্ষামুখী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষাবিদরা।
চলতি
বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায়
পাস করেছে ১৩ লাখেরও বেশি
শিক্ষার্থী। আর উচ্চশিক্ষায় আসন
রয়েছে ১৩ লাখ ২০
হাজারের মতো। ফলে কোনো শিক্ষার্থীই উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আসন সংকটে পড়বেন না। তবে জিপিএ-ফাইভ পাওয়া শিক্ষার্থীর তুলনায় এবারও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন অনেক কম। এবারও অনেকেই সেখানে পড়ার সুযোগ পাবেন না। এ কারণেই শিক্ষাবিদরা ওই পরামর্শ
দেন।
২০২১
সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায়
জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১
লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষার্থী।
আর দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের
মোট আসন ৬০ হাজার। ফলে
জিপিএ ৫ পাওয়া সবাই
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন না এটা স্পষ্ট।
ভর্তি হতে অংশ নিতে হবে তীব্র প্রতিযোগিতায়।
শিক্ষাবিদ
অধ্যাপক ড. আ আ
ম স আরেফিন সিদ্দিক
বলেন, ভালো মেধাবী শিক্ষার্থী যারা জিপিএ-৫ পেয়েছে অথবা
এর কাছাকাছি পেয়েছে। তাদের মেধার ব্যাপারে খুব বেশি প্রশ্ন করার সুযোগ নেই। কিন্তু যারা উচ্চশিক্ষা নিতে চায় তারা যেন সেখান থেকে বঞ্চিত না হয়।
ইউজিসির
পরিসংখ্যান অনুসারে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ৯৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ লাখ ৩
হাজার ৬৭৫, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ লাখ ৯৩
লাখ ৮১১, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০ হাজার আসনসহ
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১৩ লাখ ২০
হাজার আসন থাকায় উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা ১৩ লাখ শিক্ষার্থীর
কেউই উচ্চশিক্ষার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়
মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর
বলেন, মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারাটাই বড় চ্যালেঞ্জ।
সবাই
যেন গতানুগতিক উচ্চশিক্ষাগ্রহণ না উচ্চতর কারিগরি
ও কর্মমুখী শিক্ষাগ্রহণে আগ্রহী হয়, সে জন্য কারিগরি
শিক্ষাকে সংস্কারের পরামর্শ দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের
অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম
বলেন, মাধ্যমিক পাসের পর তাদেরকে শুধু
পলিটিক নয়, অন্য কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়
ও আসন সংখ্যা না বাড়িয়ে শিক্ষার
মান বাড়াতে কাযর্কর উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শও দেন সংশ্লিষ্টদের।