গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবন চত্বরে সমবেত হয় শিক্ষার্থীরা। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে তারা।
বিক্ষোভ মিছিলে “শিক্ষার্থীরা সবাই যখন বাহিরে ইবি কেন গুচ্ছে; গুচ্ছের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট একশন,গুচ্ছের ভোগান্তি আর না আর না; ইবির স্বকীয়তা, বজায় রাখো রাখতে হবে” ইত্যাদি স্লোগান দেয়।
এসময় সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, জগন্নাথ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, খুলনা ও কুমিল্লা'র মতো বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে আসতে পারলে ইবি কেন নয়। অথচ স্বাধীনতার পর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য উদ্দেশ্যকে মাটির সাথে ধূলিসাৎ করে দেয়ার জন্য বিগত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকার সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করেছিল। এর আরেকটা উদাহরণ হচ্ছে ইবিকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে অন্তর্ভুক্ত করা।
তারা আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে দেখেছি ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ইবিতে প্রায় ৯৩ টি, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ৫৩ টি, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে শতাধিক এবং সর্বশেষ ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এখন পর্যন্ত ১০৩ আসন ফাঁকা রেখে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করেছে। যেহেতু সরকার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বৈষম্যের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে, সুতরাং প্রতিবছর এরকম আসন ফাঁকা রাখা কি বৈষম্য নয়? এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া এবং আঞ্চলিকতা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য প্রশাসনকে আহ্বান করছি।
অতিদ্রুত গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা চালু না করলে কঠোর আন্দোলন এবং পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা নিতে না দেয়ার হুশিয়ারি দেয় বক্তারা।
এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর দিনব্যাপী সাধারণ শিক্ষার্থীদের গণস্বাক্ষর নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বরাবর জমা দেয় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ইবি সংসদের নেতৃবৃন্দ। এতে গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে এসে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রমের পক্ষে সহস্রাধিক শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর নেয়া হয়।