বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) 'সাসটেইনেবল ওয়্যারেবল ই-টেক্সটাইলস' শীর্ষক টেক্সটাইল খাতের ভবিষ্যৎ ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বুটেক্স সায়েন্স ক্লাবের উদ্যোগে আজ দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার কক্ষে এই সেমিনারটি অয়োজন করা হয়।
সেমিনারে মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও কমনওয়েলথ স্কলার ড. মারজিয়া দুলাল।
তিনি তার নিজস্ব গবেষণা অভিজ্ঞতা ও উচ্চশিক্ষার পথচলার গল্প শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন। কীভাবে দেশের ভিতরে ও বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাওয়া যায়, কীভাবে গবেষণায় যুক্ত হওয়া যায়, কোন খাতে গবেষণা করার সুযোগ তুলনামূলক বেশি—সেসব বিষয় নিয়ে তিনি দিকনির্দেশনা দেন।
এছাড়াও তিনি টেক্সটাইল সাসটেনেবলিটি, ওয়্যারেবল ইলেকট্রনিকস, রিসাইক্লিং, লাইফ সাইকেল অ্যাসেসমেন্ট এবং ইনভায়রনমেন্ট-ফ্রেন্ডলি ম্যাটেরিয়াল নিয়ে শিক্ষার্থীদের ধারণা দেন। এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে তার বিশ্লেষণমূলক আলোচনা শিক্ষার্থীদের নতুন কিছু জানার আগ্রহ বাড়াবে এবং গবেষণার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার উৎসাহ জোগাবে বলে শিক্ষার্থীরা আশা করেছে।
বুটেক্স সায়েন্স ক্লাবের সভাপতি মো: নাহিদ হাসান তালুকদার বলেন, গবেষণায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের একত্রিত করে তাদের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। স্মার্ট টেক্সটাইলস, পলিমার কেমিস্ট্রি, থ্রিডি উইভিং, কনজ্যুমার বিহেভিয়ার ও গবেষণা সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা দূর করা এবং সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদানই আমাদের অগ্রাধিকার। আজকের সেশনটি ছিল সেই প্রয়াসেরই একটি অংশ। ভবিষ্যতেও আমরা অভিজ্ঞ রিসার্চারদের, বিশেষ করে আমাদের শিক্ষকমণ্ডলী ও সফল এলামনাইদের সম্পৃক্ত করে আরও দিকনির্দেশনামূলক সেশন আয়োজন করতে চাই, যাতে শিক্ষার্থীরা বাস্তবভিত্তিক গবেষণায় আরও দক্ষ হয়ে উঠতে পারে।
ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আল আশরাফ বলেন, সাধারণত প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের গবেষণা সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকে না। অনেকের মাঝেই আগ্রহ থাকে, কিন্তু সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে সেই আগ্রহ হারিয়ে যায়। আজকের সেশনটি মূলত তাদের জন্যই আয়োজন করা হয়েছে, যাতে তারা শুরু থেকেই রিসার্চের সঠিক পথটি বুঝতে পারে। রিসার্চে আগ্রহী করে তোলা এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া ছিল এই সেমিনারের মূল প্রতিপাদ্য।
তিনি আরও বলেন, শুরুটা আমরা বুটেক্স থেকেই করেছি, তবে ভবিষ্যতে আমরা এই উদ্যোগ বুটেক্সের বাইরেও ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি। আমাদের এই আয়োজন তখনই সফল হবে, যখন সেমিনারে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা এখান থেকে কিছু শিখতে পারবে এবং ভবিষ্যতে নিজেদের কাজে তা প্রয়োগ করতে পারবে।
সেমিনারটি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী বলেন, এ ধরণের সেমিনার ভিবিষ্যতে আমাদের বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা শুরু করার দিকনির্দেশনা হিসাবে কাজ করবে। ভবিষ্যতে বুটেক্সে এ ধরণের সেমিনার আরো আয়োজিত হবে বলে আমরা এ আশা প্রকাশ করছি।