× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও ঘটনাবহুল ২০২৪ সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ; ১০০০ দিন পেরিয়েও নেই সমাপ্তির দেখা

সংবাদ সারাবেলা ডেস্ক।

৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৮ এএম

ছবিঃ সংগৃহীত।

২০২২ এর মাঝামাঝি দেশের শীর্ষস্থানীয় এক খবরের কাগজের অফিসে ইন্টারন্যাশনাল বিটে সদ্য জয়েন করে স্নাতক শেষ করা এক ব্যক্তি। ততদিনে রাশিয়া বনাম ইউক্রেন যুদ্ধ বেশ জমে উঠেছে। কাজ শুরু করে সদ্য জয়েন করা সেই ডেস্ক রিপোর্টার দোনেৎস্ক-এ তীব্র লড়াই এর খবর দিয়ে তার কাজ শুরু করে। এরপর একে একে চলতে থাকে ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঝাপোরিৎজিয়া কে লক্ষ্য করে রাশিয়ার হামলার খবর। বিশ্বপব্যাপী কঠিন উত্তেজনা। প্রায় তিন বছর হতে চলল, সেই ব্যাক্তি এখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ১০০০ দিনের ঘটনা লিখছে। এর মাঝে ঝরে গেছে হাজারে-হাজার প্রাণ।

এই যুদ্ধকে ঘিরে অনেক জল গড়িয়েছে সারাবিশ্বে। এমনকি জল এখনও গড়াচ্ছে। এইতো গতকালকেই ক্রেমলিন জানিয়েছে, গত প্রায় ৩ বছর ধরে ইউক্রেনে যে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে রুশ সেনারা, তা অবসানের সম্ভাবনা আপাতত নেই। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের প্রেস সেক্রেটারি ও মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এ তথ্য জানিয়েছেন।


২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২-এ, রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন। এই সময়ে উভয় দেশে অসংখ্য নিরীহ প্রাণ হারিয়েছে। এই দ্বন্দ্ব ১৯৬২ সালের কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর থেকে পশ্চিম ও মস্কোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সঙ্কটকে প্রজ্বলিত করে।

এই চলমান সংঘাতে প্রায় তিন বছর ধরে, রাশিয়ান বাহিনী আংশিকভাবে চারটি ইউক্রেনীয় প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে: দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন এবংঝাপোরিৎজিয়া। রাশিয়ার দখলে থাকা এই অঞ্চলগুলির মোট এলাকা ইউক্রেনের সমগ্র ভূখণ্ডের এক-পঞ্চমাংশ।

সাম্প্রতিক দিনগুলিতে, ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে আলোচনার গতি বেড়েছে। বিশ্লেষকরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ের পর এই সংঘাতের সমাধান হতে পারে। তার প্রচারণার সময়, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে "২৪ ঘন্টার মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান" করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যদিও তিনি তার পদ্ধতির সুনির্দিষ্ট বিবরণ প্রদান করেননি, ট্রাম্প তার অভিষেকের আগে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন।

যুদ্ধটি হাজার হাজার ইউক্রেনীয়ের জীবন দাবি করেছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে অন্য দেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই সংঘাত ইউরোপে সবচেয়ে বড়। ফলস্বরূপ, সামরিক ক্ষয়ক্ষতির বেশিরভাগই অপ্রকাশিত রয়ে গেছে। একটি জাতির দ্বারা করা মূল্যায়ন এবং অন্যদের দ্বারা করা মূল্যায়নের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য বৈষম্য রয়েছে, বিশেষ করে গোয়েন্দা তথ্যের উপর নির্ভর করে পশ্চিমা দেশগুলির দ্বারা পরিচালিত মূল্যায়নে। তবুও, সমস্ত রিপোর্ট ইঙ্গিত দেয় যে উভয় পক্ষই যথেষ্ট ক্ষতি সহ্য করেছে, অনেক ব্যক্তি আহতও হয়েছে।

ইউক্রেন জুড়ে, সমস্ত অঞ্চল জুড়ে প্রায় প্রতিটি পরিবার যুদ্ধের কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। সামরিক অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে, কোলাহলপূর্ণ শহর থেকে নির্জন গ্রামগুলিতে অনুরণিত হচ্ছে, সারা রাত বারবার সাইরেন প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। ব্যক্তিরা নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান করেছিল, ঘুম ছাড়া রাত কাটায়।

ট্রাম্পের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আগমনের পরে, একটি প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছিল: এই সংঘাতের বিষয়ে তিনি কী সিদ্ধান্ত নেবেন? তদন্তটি ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার ভবিষ্যত এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিয়ে আবর্তিত হয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি। সম্ভাব্য আলোচনার প্রত্যাশায়, উভয় দেশ তাদের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করতে পারে। ইউক্রেন এবং রাশিয়া একে অপরের ভূখণ্ডের কিছু অংশ দখল করে যুদ্ধক্ষেত্রে আলোচনায় জড়ানোর লক্ষ্য রাখে।

ইরান রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করেছিল। উপরন্তু, উত্তর কোরিয়ার প্রায় ১১,০০০ সৈন্য কুরস্কের যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। কিয়েভের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন যে উত্তর কোরিয়ার ১০০০০০ সেনা মোতায়েন করার ক্ষমতা রয়েছে।

ইউক্রেন আবার আগস্ট থেকে রাশিয়ার কুরস্কের একটা অংশ দখল করে রেখেছে। সেখানে তারা সবচেয়ে দক্ষ সেনা পাঠিয়েছে।

ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়া সেখানে ৫০ হাজার সেনা পাঠিয়েছে। তাছাড়া তারা পূর্ব ইউক্রেনেও দ্রুত কিছু এলাকা দখল করতে চায়।

ক্রমশ শীত আসছে। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি রাশিয়া একদিনে ১২০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৯০টি ড্রোন দিয়ে আক্রমণ করেছে। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার গভীরে মার্কিন রকেট দিয়ে হামলার অনুমতি দেওয়া, ইউক্রেনকে সামরিক ও আর্থিক সাহায্য দেয়ার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

গত দুই বছরে ইউক্রেনের অর্থনীতিতে মাঝারি বৃদ্ধি হয়েছে। তা সত্ত্বেও যুদ্ধের আগের অবস্থার সঙ্গে তুলনা করলে ইউক্রেনের অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা লেগেছে। সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে, ইস্পাত শিল্প ও কৃষিক্ষেত্র।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গত সপ্তাহে জানিয়েছেন, আগামী বছর কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন। তবে যে কোনো আলোচনা শুরুর আগে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে এবং ইউক্রেনকে উপযুক্ত নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিতে হবে।

ক্রেমলিন বলেছে, গত জুনেই প্রেসিডেন্ট পুতিন জানিয়ে দিয়েছিলেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার উচ্চাশা বন্ধ করতে হবে। আর চারটি এলাকা থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। কিন্তু ইউক্রেন সেই প্রস্তাব পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে।

গত শুক্রবার জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস প্রায় দুই বছর পর পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তারপরই জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার নেতা একঘরে হয়ে ছিলেন। এই ফোনের ফলে তার সেই দশা কিছুটা হলেও কমলো। জেলেনস্কি সবাইকে সাবধান করে দিয়ে বলেছেন, প্রকৃত শান্তি দরকার।


যুদ্ধ বন্ধের চুক্তিতে আগ্রহী জেলেনস্কি


যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধে ‘চুক্তি’ করতে আগ্রহী ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ফ্রান্সের প্যারিসে দুজনের বৈঠক শেষে ৮ ডিসেম্বর নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ স্যোশালে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে, ৭ ডিসেম্বর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে ত্রিপক্ষীয় এ বৈঠকে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ উপস্থিত ছিলেন। এমন সময় ফরাসি প্রেসিডেন্ট এ বৈঠকের আয়োজন করেছেন, যখন রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনের অবস্থান নিয়ে সংশয়ে রয়েছে কিয়েভ।

ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই সংঘাতের অবসান ঘটাবেন তিনি। তার এই প্রতিশ্রুতি কিয়েভের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। কেননা দেশটি মনে করছে, এটি মূলত মস্কোর শর্তানুযায়ী হতে পারে। আর এমনটি হলে নিজ ভূখণ্ডের কিছু অংশ হয়তো তাদের হারাতে হবে ইউক্রেনকে।

দায়িত্ব গ্রহণের আগেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কাজ শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। সংঘাত নিরসনে দুই দেশের সঙ্গে গোপনে ও প্রকাশ্যে আলোচনার উদ্যোগ নিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টারা।

ট্রুথ স্যোশালে ট্রাম্প লেখেন, একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর এবং এই পাগলামি বন্ধের পথ বেছে নেবে জেলেনস্কি ও ইউক্রেন। নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং আলোচনা শুরু হওয়া উচিত। অপ্রয়োজনে অনেক বেশি প্রাণ ঝরে গেছে, অনেক পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। যদি এভাবে চলতে থাকে, এটি আরও বড় ও খারাপ কিছুতে রূপ নেবে।

যদিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে উল্টো দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। ওই পোস্টে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কেবল একটি কাগজের টুকরা এবং কয়েকটি স্বাক্ষরের মাধ্যমে এ সংঘাত বন্ধ করা সম্ভব নয়। ইউক্রেনের বাসিন্দারা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।

গত ৭ ডিসেম্বর প্যারিসে ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনেস্কির বৈঠক হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় মস্কো জানিয়েছে, যেকোনো সমঝোতা তখনই সম্ভব হবে যখন ইউক্রেন রাশিয়ার অঞ্চলগুলো থেকে তার বাহিনী প্রত্যাহার করবে।

ট্রাম্প-জেলেনস্কির বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পরই নতুন করে প্রায় ১০০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তার ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান মার্কিন প্রশাসন। ইউক্রেনের জন্য নতুন এই অস্ত্র সহায়তার মধ্যে রয়েছে ড্রোন, ট্যাংক, সাঁজোয়া যান, হিমার্স রকেট লঞ্চারের গোলাবারুদ এবং আর্টিলারি সিস্টেমের সরঞ্জামসমূহ।

এদিকে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের বিষয়ক যেকোনো আলোচনায় ইউক্রেনের নিরাপত্তা গ্যারান্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিতে বলেন ভলোদিমির জেলেনস্কি।

৭ ডিসেম্বরের আলোচনার সঙ্গে পরিচিত দুটি সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৈঠকে ট্রাম্পের সঙ্গে একটি সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেন ইউক্রেনের নেতা।

বৈঠকে ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত অবসানের আলোচনা কীভাবে কার্যকর হতে পারে এ নিয়ে কিছু প্রাথমিক সূত্রের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, যদিও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আলোচনায় বসানোর প্রক্রিয়াটি জটিল এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা এখনও স্পষ্ট নয়।

সূত্র জানিয়েছে, সাক্ষাতের সময় ট্রাম্প একটি বন্ধুত্বপূর্ণ, সম্মানজনক ও খোলামেলা আচরণ করেছিলেন। এ সময় কিছু বলার চেয়ে তিনি বরং শুনতেই বেশি আগ্রহী ছিলেন বলে মনে হয়েছিল।

ট্রাম্প কিংবা তার ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা যারা ইউক্রেনের সঙ্গে কাজ করছেন, তারা ঠিক কীভাবে যুদ্ধের সমাধানের পরিকল্পনা করছেন এবং যেকোনো মীমাংসার অংশ হিসেবে ইউক্রেনের সুরক্ষা গ্যারান্টির দাবিটিকে দেখছেন এসব বিষয় এখনও স্পষ্ট করেননি।


ক্রেমলিনের অনীহা


এদিকে গতকাল (৩০ ডিসেম্বর) রাশিয়ার সরকারি বার্তাসংস্থা রিয়া নভোস্তি পেসকভের একটি সাক্ষাৎকার নেয়। সেখানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের প্রেস সেক্রেটারি ও মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভকে প্রশ্ন করা হয়, নিকট ভবিষ্যতে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর সামরিক অভিযান শেষ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা রয়েছে কি না।

উত্তরে পেসকভ বলেন, “না, আপাতত কোনো সম্ভাবনা নেই। আমাদের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বেশ কয়েক দিন আগে বলেছেন যে কিয়েভের সঙ্গে শান্তি আলোচনার জন্য মস্কো প্রস্তুত। তিনি আরও বলেছিলেন, শান্তি আলোচনা শুরুর জন্য রাশিয়া কোনো পূর্বশর্ত রাখছে না।”

“কিন্তু এখন পর্যন্ত ইউক্রেন এ আহ্বানে সাড়া দেয়নি। এমনকি তারা শান্তি আলোচনার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিংবা প্রস্তুতি নিচ্ছে— এমন কোনো তথ্যও আমরা এখন পর্যন্ত পাইনি। তাই যেহেতু কিয়েভ এখনও প্রস্তুত নয়— ইউক্রেনে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান চলবে।”


Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.