১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমপর্ণের ঘটনা উল্লেখ করে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মুক্তিযুদ্ধকে ‘ভারতের বিজয়’ দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, দিনটি ভারতের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই দিনে ভারতের আলোচিত যুদ্ধের জয় এসেছিল।
গতকাল (১৬ ডিসেম্বর) ভারতের লোকসভার জিরো আওয়ারে বক্তব্য রাখার সময় এসব কথা বলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এসব কথা বলেন। যদিও তাকে ১৯৭১-এর যুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবদান নিয়ে বলতে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়নি। তাই কংগ্রেস সংসদ সদস্যরা লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডেকান হেরাল্ডের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
একাত্তরের যুদ্ধ প্রসঙ্গে ভারতের লোকসভায় প্রিয়াঙ্কা বলেন, আমি সেসব শহীদ, সৈনিক এবং সাহসী মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, যারা এই যুদ্ধে লড়েছিলেন। এই জয় সম্ভব হয়েছিল তাদের জন্যই। সেসময় ভারত একা ছিল। পুরো বিশ্ব আমাদের কথা শোনেনি। বাংলাদেশে যা ঘটছিল, আমাদের বাংলা ভাই-বোনদের কণ্ঠস্বর কেউ শুনতে চাইছিল না। কিন্তু তখন ভারতের জনগণ একত্রিত হয়েছিল, তাদের সেনাবাহিনী এবং দেশের নেতৃত্বের পাশে দাঁড়িয়েছিল।
ভারতের সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর থেকে ঢাকায় পাকিস্তানি সেনা নিয়াজীর আত্মসমর্পণের ছবি সরানোর প্রতিবাদ জানিয়ে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর থেকে সেই ঐতিহাসিক ছবি সরানো হয়েছে, যেখানে দেখা যেত পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করছে। পাকিস্তানি সেনাদের আত্মসমর্পণের প্রতীকী ছবিটি ভারতের গৌরবময় ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি পুনঃস্থাপন করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, সে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। সেই কঠিন সময়ে তিনি সাহস দেখিয়েছিলেন এবং এমনভাবে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যাতে জয় সুনিশ্চিত হয়। সে সময় যে লড়াই হয়েছিল, তা ছিল নীতির লড়াই, গণতন্ত্রের নীতি…. ।
এ পর্যায়ে স্পিকার সন্ধ্যা রায় প্রিয়াঙ্কাকে থামিয়ে দেন ।
তবে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে হিন্দু ও খ্রিষ্টান সংখ্যালঘুদের রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু এবং খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। এ বিষয়ে ভারত সরকারকে জোরালো অবস্থান নিতে হবে এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে নির্যাতিতদের পূর্ণ সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে।