সম্প্রতি
শব্দের চেয়ে দ্রুতগতি সম্পন্ন (হাইপারসনিক) ও নতুন প্রজন্মের রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ওরেশনিকের
কার্যকারিতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর সংশয় প্রকাশ করেছে। এর জবাবে রুশ
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রেসিডেন্টের বাৎসরিক সংবাদ সম্মেলনে পশ্চিমাদের ক্ষেপণাস্ত্র
যুদ্ধের চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন।
প্রেসিডেন্টের
বাৎসরিক সংবাদ সম্মেলনে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ওরেশনিকের গতি ও কার্যকারিতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র
ও ইউরোপীয় সমরাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের যে সংশয় তা নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে পুতিন জবাব
দেন, “যেসব পশ্চিমা বিশেষজ্ঞ ওরেশনিকের কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন, তাদের
নিয়োগকর্তাদের উদ্দেশে আমি বলব— আসুন আমরা একটা দ্বৈরথের আয়োজন করি।
আপনারা কিয়েভে একটি টার্গেট ঠিক করবেন এবং আপনাদের কাছে সর্বাধুনিক যেসব ক্ষেপণাস্ত্র
প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে, সবগুলো মোতায়েন করবেন—আর আমরা এখান থেকে আপনাদের ঠিক করা
টার্গেট লক্ষ্য করে ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ব।”
"তারপর
দেখুন কী হয়। আমরা এ ধরনের একটি অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। আপনারা (পশ্চিম)
প্রস্তুত তো?”
'ওরেশনিক'
ক্ষেপণাস্ত্রটির নামকরণ করা হয়েছে হ্যাজেল গাছের নামে। রুশ ভাষায় ওরেশনিকের অর্থ হ্যাজেল
গাছ। ক্ষেপণাস্ত্রটি বিস্ফোরিত হলে যে অবয়বের সৃষ্টি হয় তা অনেকটাই এই হ্যাজেল গাছের
মত হওয়ায় 'ওরেশনিক' নামকরণ করা হয়েছে।
বাতাসে শব্দের
গতি প্রতি সেকেন্ডে ৩৩১ দশমিক ২৩ মিটার। ওরেশনিকের গতি শব্দের চেয়ে ১০ গুণ বেশি।
রুশ সেনা
কর্মকর্তারা দাবি করেছে মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ওরেশনিককে রুখে দেওয়ার মত কোনো
প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। যদিও এই দাবি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয়
সেনা কর্মকর্তা-সমরাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের সংশয় রয়েছে।
সূত্রঃ রয়টার্স