ইয়েমেনের রাজধানী সানায় বিমানবন্দরে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলার সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরস আধানম গেব্রেয়াসুস। অল্পের জন্য তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন। এতে দুজন নিহত হয়েছেন। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও তার দলের একজন সদস্য আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হামলা চালায় ইসরায়েল। ডব্লিউএইচও’র প্রধান সেসময় প্লেনে ওঠার অপেক্ষায় ছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ডব্লিউএইচওপ্রধান গেব্রেয়াসুস বলেন, আমি এবং কর্মীরা একটি বিমানে উঠতে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরটি বোমা হামলার শিকার হয়। আমাদের প্লেনের একজন ক্রু আহত হয়েছেন। আর বিমানবন্দরে দুজন নিহত হয়েছেন।
হুতি নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, হামলায় কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন ও এক ডজনেরও বেশি আহত হয়েছেন। নিহতরা বেসামরিক নাগরিক নাকি হুতি বিদ্রোহী তা স্পষ্ট নয়। ইসরায়েল হামলার দায় স্বীকার করার পর ইরান-সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি এই হামলাকে বর্বরতা বলে বর্ণনা করেছে।
হুতিদের সর্বোচ্চ বিপ্লবী কমিটির প্রধান মোহাম্মদ আলী আল-হুতি এই হামলাকে বর্বর ও আক্রমণাত্মক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, গাজার সংঘাত বন্ধ না হওয়া পর্যন্তি আমেরিকান ও ইসরায়েলি দম্ভের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, তাদের বিমানগুলো পশ্চিম উপকূল ও ইয়েমেনের অভ্যন্তরে হুতি সন্ত্রাসীদের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামরিক অবকাঠামোর পাশাপাশি হেজিয়াজ ও রাস কানাতিব পাওয়ার স্টেশন এবং পশ্চিম উপকূলে আল-হুদাইদাহ, সালিফ ও রাস কানাতিব বন্দরের স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
হামলার পরপরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, আমরা কেবল হুতিদের সঙ্গে শুরু করেছি। আস্তে আস্তে ইরানের অশুভ ক্ষমতার সব বাহু কেটে ফেলবো।
উল্লেখ্য, ইয়েমেনের রাজধানী সানা এখন ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। ইসরায়েলে তাদের পক্ষে হামলা চালানোর একদিন পরই পালটা এই হামলা চালালো ইসরায়েলি বাহিনী।