সর্ষে ফুলের হলুদে ছেয়ে গেছে ছোট গ্রামটি
প্রমত্তা পদ্মার মতো ঢেউ খেলে তার উর্বর ঊরুনাভি
বাতাসে সে ফুলে গন্ধ নেয়ার আগেই
অদূরে ঝরনার হর্ষধ্বনী যেন আজন্ম হাতছানি।
মাত্রা ক’বছরেই দু’কূল ছাপিয়ে
অঝরধারায় অবিরাম সেই সুখানুভূতি।
বাঁধ ভেঙে ছোট ডিঙিটার ক্লান্তিহীন অভিসার,
একসময় অসংখ্য গ্রহ নক্ষত্র ছায়াপথ নিহারিকা
জ্যোতিষ্কমণ্ডলীর আর্বিভাব।
সেখানে পবিত্রতার জয়গান এবং জ্যোৎস্নার
আগমনে বাতাসে স্নিগ্ধতার রূপ বদলায়
বদলাতে বদলাতে পালাবদল মালাবদল।
এরপর সর্ষে ফুলের জমিন বদলে
গ্রামটিতে আজ নতুন সূর্যোদয়
দিগন্ত-জোড়া সোনালি ধানের মৌ মৌ গন্ধে
নক্ষত্র থেকে নেমে আসা চৌকস কৃষক
আঁল বেঁধে সেচের নেশায় মত্ত হয়।
এরপর বিমুগ্ধ মাঠ খেত বনের শালিক আর
নদীর পানকৌড়ি অথবা
সুউচ্চ বটগাছ, পাশেই পানের বরজ
আর কয়েকটা আমগাছ এবং চৌচালা টিনের ঘর
আমরা তোমাদের সাক্ষী হলাম।
এই সোনারোদ, ভোরের শিশির রাখালের বাঁশি
আর সিরাজ মিয়ার গলাভরা গান
ওরাও তোমাদের গ্রহণ করল।
তবে আর শংকা কেন ভিনগ্রহী কৃষক?
চালাও তোমার কাস্তে কোদাল দাও
ফুলে ফসলে ভরে উঠুক আমাদের ভদ্দরগাঁও।