শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিরনিদ্রায় শায়িত কবি হেলাল হাফিজ
ডেস্ক রিপোর্ট
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:২৮ পিএম
ছবিঃ সংগৃহীত।
গতকাল (১৩
ডিসেম্বর) জীবনের পাট চুকিয়ে পরপারের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছেন প্রেম ও দ্রোহের কবি হেলাল
হাফিজ। আজ (১৪ ডিসেম্বর) বাদ জোহর প্রেসক্লাবে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা শেষে চিরনিদ্রায়
শায়িত হলেন তিনি।
রাজধানীর
মিরপুরের শহীদ
বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে আজ (১৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার
দিকে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।
কবি হেলাল
হাফিজের প্রথম জানাজা আজ বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় প্রেসক্লাবে
বাদ জোহর দুপুর দেড়টার দিকে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কবির জানাজায়
উপস্থিত হয়ে গভীর শোক প্রকাশ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা
সরয়ার ফারুকী এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।
সংস্কৃতি
উপদেষ্টা বলেন, মাত্র অল্প কিছু কবিতা দিয়েই হেলাল হাফিজ বাংলাভাষার উল্লেখযোগ্য কবিদের
মধ্যে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। তার অবদান জাতি সবসময় স্মরণ করবে।
এর আগে গতকাল
(১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে শাহবাগের সুপার হোম নামে হোস্টেলের শৌচাগারের মেঝেতে অচেতন অবস্থায়
পাওয়া যায় বরেণ্য এই কবিকে। হোস্টেলের অন্য রুমের সদস্যরা তাকে দরজা ভেঙে সেখান থেকে
উদ্ধার করেন। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে
মৃত ঘোষণা করেন।
কবি হেলাল
হাফিজের জন্ম ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোনায়। হেলাল হাফিজ দীর্ঘদিন ধরে গ্লুকোমায়
আক্রান্ত ছিলেন। পাশাপাশি কিডনি জটিলতা, ডায়াবেটিস ও স্নায়ু রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে
তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
২০১৩
খ্রিষ্টাব্দে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। তার আগে খালেকদাদ চৌধুরী পুরস্কারসহ নানা সম্মাননা পান তিনি।
তার প্রথম
কবিতার বই ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়। এ
পর্যন্ত বইটির মুদ্রণ হয়েছে ৩৩ বারেরও বেশি। লেখালেখির পাশাপাশি হেলাল হাফিজ বিভিন্ন
পত্রিকায় দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেন। ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন
জ্বলে' প্রকাশের পর জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে আসেন কবি।
দেশে
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় হেলাল হাফিজের ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’র পঙ্ক্তি
‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়' উচ্চারিত হয় মিছিলে, স্লোগানে,
কবিতাপ্রেমীদের মুখে মুখে।