আজ (১৪ ডিসেম্বর)
প্রেম ও দ্রোহের কবি হেলাল হাফিজের দু'টি জানাজা শেষে শহিদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।
এদিন বাংলা
একাডেমিতে হেলাল হাফিজের প্রথম জানাজায় উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংস্কৃতিক
উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
বাংলা একাডেমির
প্রাঙ্গনে উপস্থিত হয়ে উপদেষ্টা ফারুকী সংবাদমাধ্যমকে হেলাল হাফিজের কবিতার প্রভাব
বিস্তার নিয়ে বলেন, আমার ঠিক জানা নেই, একটি জাতির শিল্প সংস্কৃতির ইতিহাসে কোনো কবি
এত প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছিলেন কি না? তার খুব বেশি কবিতার বই প্রকাশ পায়নি। অথচ
দেখুন, তারুণ্য আর যৌবনের গান বললেই হেলাল হাফিজের কথা মনে পড়ে। এটা তার অর্জন।
উপদেষ্টা
ফারুকী আরও বলেন, কবি বেঁচে থাকে তার কবিতায়। শিল্পী যখন শক্তিশালী হয়, তখন কাজেই বেঁচে থাকে। হেলাল হাফিজ তার কবিতাতেই বেঁচে থাকবেন। তার শূন্যতা অপূরণীয়। তবে হ্যাঁ, কবি হেলাল হাফিজকে নিয়ে সংষ্কৃতি মন্ত্রণালয় তার প্রয়োজনীয় সব দায়িত্ব পালন
করবে। যা করণীয় আছে,
তার সব নিয়েই আমরা
কাজ করব। আমি নিশ্চিত, এ বিষয়ে খুব
দ্রুতই কিছু শুনবেন।
হেলাল
হাফিজকে পুরস্কৃত করা বিষয়ে উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, কবি কখনও পুরস্কারের জন্য লেখেন না। গুণীদের পুরস্কার দিতে হয় জাতির কৃতজ্ঞতা
জানানোর জন্য। দুর্ভাগ্য এই যে, আমরা
ওনাকে একুশে পদক, স্বাধীনতা পদক কিছুই দিতে পারিনি। তাই আমাদের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এ বিষয়ে যা
যা করণীয় আছে আমরা নিশ্চিতভাবে সেটা করব।