সম্প্রতি কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমদসহ মুজিবনগর সরকারের সদস্যদের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে। তবে এ খবর ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
বুধবার (৪ জুন) সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন,
“প্রিয় ভাইবোনেরা, শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমদসহ মুক্তিযুদ্ধের নেতাদের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বাতিল—এটা একটি ‘ফেইক নিউজ’। নতুন অধ্যাদেশে মুজিবনগর সরকারের সব সদস্যকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। কারও সার্টিফিকেট বাতিল হয়নি—এটিও বিভ্রান্তিকর তথ্য।”
-683feed15716c.jpg)
একই বিষয়ে কথা বলেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মো. মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামান—জাতীয় চার নেতা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেই বিবেচিত হবেন। মুজিবনগর সরকারের যারা ছিলেন, তারাও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন।”
তিনি আরও স্পষ্ট করেন, “সশস্ত্রভাবে যাঁরা যুদ্ধ করেছেন বা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁরা সবাই ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবেই থাকবেন। তবে মুজিবনগর সরকারের অধীন কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে বিবেচিত হবেন।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৩ জুন) দিবাগত রাতে সরকার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইনে বীর মুক্তিযোদ্ধার নতুন সংজ্ঞা সংবলিত একটি সংশোধিত অধ্যাদেশ জারি করে। এরপর থেকেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা ছড়ালে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।