জুলাই-আগস্টে
ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও গণ অভ্যুত্থান চলাকালে বেশ কয়েকবার দেশে ইন্টারনেট
সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক স্বীকার করেছেন
সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছিল।
গতকাল (১৮ ডিসেম্বর)
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় জিজ্ঞাসাবাদে এ স্বীকারোক্তি দিয়েছেন
পলক। আজ (১৯ ডিসেম্বর) চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন।
জিজ্ঞাসাবাদে
সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী স্বীকার করেছেন ডাটা সেন্টার ভবনে আগুন লাগার কারণে নয়,
শেখ হাসিনার নির্দেশেই তখন ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছিল।
এ ব্যাপারে
চিফ প্রসিউকিউটর বলেন, গণঅভ্যুত্থান চলাকালিন সময়ে কোনোপ্রকার দুর্ঘটনা কিংবা কোনো
ভবনে আগুন লাগার কারণে বন্ধ ছিল না ইন্টারনেট। সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ
পলক নিজেই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে দেশের ও আন্তর্জাতিক ইন্টারনেটের সব গেটওয়ে শেখ
হাসিনার নির্দেশে বন্ধ রাখা হয়েছিল। গণহত্যার খবরগুলো যেন ছড়িয়ে পড়ে সবাই না জানতে
পারে সেই উদ্দেশ্যেই ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়।
আন্তর্জাতিক
অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জুলাইয়ে কোটা আন্দোলন চলাকালে ইন্টারনেট বন্ধ করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে
সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলককে গত ১২ ডিসেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি
দেন। সেই নির্দেশ মোতাবেক গতকাল (১৮ ডিসেম্বর) তদন্ত সংস্থায় পলককে জিজ্ঞাসাবাদ করা
হয়।