২০০৯ সালের
২৫ ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া ভয়াবহ পিলখানা হত্যাকান্ডের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা, তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিকিসহ ৫৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
জমা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার
(১৯ ডিসেম্বর) দপুর ২টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ
ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কাছে পিলখানা গণহত্যায় শহীদ সেনা অফিসারদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা এই অভিযোগ জমা
দেন।
অভিযোগ
প্রসঙ্গে অ্যাডভোকেট উদয় তাসমীর বলেন, ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি
৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা
হত্যার সঙ্গে আমরা মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গণহত্যার সামঞ্জস্যতা পেয়েছি। এর সঙ্গে তৎকালীন
অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার দোসররা জড়িত ছিলেন। শেখ হাসিনা স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বকে সংকটের মুখে ফেলার জন্য এবং তার স্বৈরশাসনকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য বৃহৎ এবং শক্তিশালী বাহিনীকে ধ্বংস করতে এই মানবতাবিরোধী অপরাধ
সংঘটিত করেছে। আজ আমরা শহীদ
পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে একটি অভিযোগ দাখিল করেছি।
এদিন তিনি
আরও বলেন, আমরা যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেছি এরমধ্যে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা প্রধানমন্ত্রী, তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা, আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বিভিন্ন
গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানরা রয়েছেন। আমাদের অভিযোগ খুবই সুস্পষ্ট। দুটি বাহিনীকে ধ্বংস
করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বকে সংকটের মুখে ফেলে আওয়ামি ফ্যাসিস্ট মতাদর্শকে
প্রতিষ্ঠা করার জন্য দেশপ্রেমিক এবং দক্ষ ও অফিসারদেরকে খুন করা হয়েছে। তাদের লাশে
আগুন দেওয়া হয়েছে এবং বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে তাদের লাশকে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে।
তাদের পরিবারকে আটক করে জিম্মি করা হয়েছে এবং লুটপাট করা হয়েছে। এসব কিছুই মানবতা
বিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। তাই কমিশন গঠনের মাধ্যমে এসব ঘটনার বিচারের দাবি জানানো
হয়েছে।