নওগাঁর মান্দায় সরকারি খালের পাড় কেটে নিয়ে যাচ্ছে ইটভাটা মালিক আব্দুল খালেক। উপজেলার কাশোঁপাড়া ইউপির সিংগীহাট সংলগ্ন খালের পাড় কেটে নিয়ে যাচ্ছে তার ইট ভাটায়। সরকারি খালের পাড় কেটে নিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যাথা নেই।
জানা গেছে, গত ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে মেসার্স ফারুক এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই খালটি সংস্কার করেন। ভূ-পরিস্থ পানির প্রাপ্যতা বৃদ্ধি, সেচ সুবিধা ও জলাবদ্ধতা দূরীকরণে খাল সংস্কার করা হয়।
অথচ সংস্কারের কয়েক বছরের মাথায় কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আব্দুল খালেক ভেকু মেশিন দিয়ে ট্রাক্টরে করে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে একদিকে যেমন ধ্বংস হতে বসেছে জমিতে সেচ কাজে ব্যবহৃত খাল এবং অপরদিকে মাটি পরিবহনের ফলে নষ্ট হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ কাচা-পাকা রাস্তাঘাট। ধুলা বালিতে ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ মানুষদের। কোন নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে খালের পাড় কেটে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, কৃষি জমিতে সেচ কাজের জন্য কয়েক বছর আগের খালটি সংস্কার করা হলেও সম্প্রীতি আব্দুল খালেক নামের ব্যক্তি খালের পাড় কেটে অবৈধ ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে কৃষকদের গরু ছাগলের জন্য চারণভূমি নষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও কাজের ফাঁকে পাড় ঘেঁষা গাছের ছায়ায় বসে কৃষকেরা তাদের ক্লান্তি দূর করেন। খালটির পাড় কেটে নিয়ে যাওয়ার ফলে বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হবে কৃষিজমি। খালে পাড় না থাকার কারণে হুমকির মুখে পড়বে ফসলি জমি।
স্থানীয়রা আরও জানান, খালের পাড় ঘেঁষা জমির মালিকদের জমি বৃদ্ধির প্রলোভন দিয়ে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এতে করে কিছু কৃষকের জমি বৃদ্ধি হলেও অধিকাংশ কৃষকদের জমি হুমকির মুখে পড়তে হবে। অচিরেই কর্তনকৃত খালের পাড় পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে মাটি ব্যবসায়ী ভাটা মালিক আব্দুল খালেকের সঙ্গে মুঠোফোনে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।
বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, খালটি সংস্কারের পর উপজেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন দেখভালের দায়িত্ব উপজেলা প্রশাসনের।
এ বিষয়ে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু বাক্কার সিদ্দিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, খালের পাড় কাটার সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।