বিশ শতকের শেষে অথবা বলা চলে নব্বইয়ের দশকের দিকে বাংলাদেশের নৌকায় ইঞ্জিন লাগানো শুরু হয়। এর ফলে নৌকা যান্ত্রিক নৌ-যানে রূপান্তরিত হয়। পানি সেচে ব্যবহৃত শ্যালো পাম্পের মোটর দিয়ে স্থানীয় ভাবে এসব নৌকা চালানো হয় বলে এগুলো 'শ্যালো' বা ইঞ্জিন চালিত নৌকা নামে পরিচিত।
এক সময় ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য সওদাগরগণ এই নৌকা ব্যবহার করে দেশ দেশান্তরে ঘুরে বেড়াতেন। তবে এখন এসব নৌকা বিভিন্ন অঞ্চলে চাহিদা অনুযায়ী যাত্রী ও পর্যটকদের নৌ-ভ্রমণের প্রথম চাহিদা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব নৌকায় ৪০-৪৫ জন যাত্রী বহন করার ক্ষমতা রয়েছে। যা দেশের অনেক অঞ্চলেই বিলুপ্তের পথে।
এসব নৌকার দেখা মিলে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি জেলার বিভিন্ন স্পর্টে। লেকে ঘেরা জেলাটির বেশ কয়েকটি উপজেলা সদর গুলোতে যেতে হলে আপনাকে এসব ইঞ্জিন চালিত নৌকায় উঠতে হবে। তাছাড়াও রাঙামাটির অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র শুভলং ঝর্ণায় যেতে হলেও পর্যটকরা এসব নৌকা ভাড়ায় নিয়ে থাকেন। লেকে মাছ ধরতেও জেলেদেরও প্রথম পছন্দ এসব নৌকা।
(রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার লঞ্চঘাট এলাকা থেকে ছবিগুলো তুলেছেন সোহানুর রহমান)