গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, সচিবালয়ে যে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে সেটি নাশকতার অংশ কিনা সেটা রাষ্ট্রের সমস্ত শক্তি দিয়ে তার তদন্ত করতে হবে। এর জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, একাত্তরের যে আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে স্বাধীনতা পরবর্তী সরকারগুলো ব্যর্থ হয়েছে। চব্বিশে এর পুনরাবৃত্তি হতে দেয়া যাবে না। জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদের রক্তের উপর দাড়িয়ে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায় বিচারই হবে এই রাজনৈতিক বন্দোবস্তের অঙ্গীকার।
শুক্রবার বিকালে কুমিল্লা টাউন হল মিয়লনায়তনে গণসংহতি আন্দোলনের জেলা কমিটির উদ্যোগে ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রুপান্তরে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা’র দাবিতে গণসংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গণসংলাপে দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, শহীদদের রক্তের ঋণই হচ্ছে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা। জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই সত্যিকার রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক বদল ঘটানো সম্ভব। গণসংহতি আন্দোলন সে কারণেই দেশব্যাপি গণসংলাপের আযোজন করে জনগণের মতামত গ্রহণ করছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য সর্বাধিক মনোযোগ দিয়ে সুস্থ দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশ তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষের দিতে এগোবে। আর এরকম দেশ গড়ে তোলার জন্য সাংবিধানিক, রাজনৈতিক, বিচার বিভাগীয় সংস্কার এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাই হতে হবে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের অগ্রাধিকার।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য হাসান মারুফ রুমী, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য রতন তালুকদার, কুমিল্লা আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহানগর আহ্বাযক উদবাতুল বারী আবু, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. মোসলেহ উদ্দীন আহমদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের জেলা সহসভাপতি মোতাহার হোসের বাবুল, বিশিষ্ট সাংবাদিক সাইয়েদ মাহমুদ পারভেজ, কুমিল্লা জজ কোটের এ্যাডভোকেট আরিয়ান ইমাম, মহানগর জিএসডির আহ্বায়ক শিরিন আকতার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী খসরু আহাম্মেদ, কুমিল্লা মহানগর, জেলা ও থানার নেতৃবৃন্দ। সভায় জেলা সদস্য সচিব মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান লিটনের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা জেলা আহ্বায়ক ইমরাদ জুলকারনাইন ইমন প্রমুখ।