জাতীয় পার্টির (রওশন এরশাদ) মহাসচিব কাজী মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ বলেছেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৯ বছরের শাসনামল বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তিনি বলেন, ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা, উপজেলা ব্যবস্থাা প্রবর্তণ, রাস্তা-ঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়াসহ দেশের ৬৮ হাজার গ্রামে পল্লীবন্ধু এরশাদের উন্নয়নের ছোঁয়া রয়েছে।

জাতীয় পার্টির ৩৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাব ঢাকার আব্দুস সালাম হল মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তবে তিনি একথা বলেন। 

কাজী মামুনুর রশীদ আরও বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ গার্মেন্টস শিল্পের বিকাশ সাধন, মসজিদ মাদ্রাসা নির্মাণ, অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য উপাসানালয়, ঐতিহাসিক ভূমি সংস্কার, ওষুধনীতি প্রণয়ন, ইউনিয়ন পর্যায়ে হাসপাতাল নির্মাণ, মিশনে বাংলাদেশের সৈন্য প্রেরণের ব্যবস্থা গ্রহণসহ অসংখ্য জনহিতকর কাজের অমর হয়ে আছেন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পার্টির নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, দুঃখের সাথে বলতে হয়, তারা (জিএম কাদের) এরশাদ রাজনীতির উত্তরসূরী নয়। তারা সুবিধাবাদী এবং স্বার্থান্বেষী। তা না হলে ২০২৪-এ নির্বাচনে গোটা জাতীয় পার্টিতে কবরের কিনারে পৌঁছে দিয়ে ২৬ আসনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারতেন না। তারা জাতীয় পার্টির নাম মুখে নিতে হলে নেতা কর্মী সমর্থকদের কাছে তাদের ক্ষমা চাইতে হবে। ‘২৪র নির্বাচনে গোটা জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করেনি। জাতীয় পার্টির নাম নিয়ে নির্বাচন করেছে ২৬ জন সুযোগ সন্ধানী। নির্বাচনী ইশতেহার থেতে এরশাদের ছবি মুছে দিয়ে নির্বাচন করেছেন। পোস্টারে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের হবি রাখা হয়নি অথচ অন্য দলের নেতা নেত্রীদের ছবি ব্যবহার করে জাতীয় পার্টির নামে নির্বাচন করেছেন। 

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনের সব দল অংশগ্রহণ করিনি। এই নির্বাচন আমরা যারা বর্জন করেছিলাম আজ এখনে তারাই সমবেত হয়েছি। আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে চাই আগামী সোনালি দিনের আশায়। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের আদর্শ বুকে ধারণ করেই আমরা একটি শক্তিশালী সুসংগঠিত জাতীয় পার্টি পুনর্গঠন করতে চাই। এদেশের সকল গণতান্ত্রিক শক্তি গণতন্ত্রের সহযোদ্ধা হিসেবে আমাদের সাথে থাকবে আমরা সেই প্রত্যাশা করি। আশা করি অতীতের সব গ্লানি তুলে আমরা দেশকে সোনালি ভবিষ্যতের দিকেই নিয়ে যেতে পারবো। 

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টি প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন, খন্দকার মনিরুজ্জামান টিটু, নিগার সুলতানা রানী, তুহিনুর রহমান নুরু হাজী, উপদেষ্টা এম এ গোফরান, হাফসা সুলতানা, ভাইস চেয়ারম্যান শাহালাম তালুকদার, সারফুদ্দিন আহমেদ শিপু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলাম তরুণ, সাংগঠনিক সম্পাদক রিফাতুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক খোরশেদ আলম খুশু প্রমুখ।