‘বিদেশ থেকে
সরবরাহকৃত রায়ের ভিত্তিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে’—এমন
অভিযোগ করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।
মঙ্গলবার
(২৭ মে) এটিএম আজহারের মুক্তির পর এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জামায়াত আমির
বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে জামায়াতের ওপর ভয়াবহ জুলুম চালানো হয়েছে।
সাজানো আদালত ও মিথ্যা সাক্ষ্যের ভিত্তিতে ১১ জন নেতাকে বিচারিক হত্যার (জুডিশিয়াল
কিলিং) মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে।”
তিনি আরও
বলেন, “তৎকালীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ছিল এক ধরনের ‘ক্যাংগারু কোর্ট’।
সেখানে বিচার কার্যক্রমে জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক কোনো আইন অনুসরণ করা হয়নি। সংবিধান
ও আইন উপেক্ষা করে বিশেষ কোনো মহলের ইচ্ছানুযায়ী বিচার পরিচালিত হয়েছে।”
ডা. শফিকুর
রহমান এই ঘটনাকে আখ্যায়িত করেন ‘ইচ্ছাকৃত নেতৃত্ব গণহত্যা’
হিসেবে। তার দাবি, এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির মধ্য দিয়ে তিনি এখন ন্যায়বিচার পেয়েছেন,
কিন্তু পূর্বে যেসব নেতাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত
হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে
তিনি জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে হওয়া বিচারকে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করার আহ্বান জানান।