ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বামপন্থিদের উত্তপ্ত স্লোগান ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির
অপতৎপরতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) এক
বিবৃতিতে সংগঠনটি এই উদ্বেগ জানায়।
বিবৃতিতে
বলা হয়, সম্প্রতি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি এটিএম আজহারের বেকসুর খালাস পাওয়ার পর, বামপন্থি ছাত্রসংগঠনগুলো ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেছে। গণতান্ত্রিক সমাজে মতপ্রকাশ ও প্রতিবাদ করার
অধিকার সবার রয়েছে—এই নীতিতে ছাত্রশিবির
শ্রদ্ধাশীল বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
তবে,
বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, বামপন্থিদের বিক্ষোভে পুরোনো ফ্যাসিবাদী স্লোগান নতুন করে ফিরে এসেছে। শিবির নেতারা বলেন, “স্বৈরাচারী সরকারের আমলে যেসব স্লোগানের মাধ্যমে শিবির কর্মীদের হত্যার বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল, আজ আবার সেগুলোই
শুনতে হচ্ছে। বুধবার রাতের বিক্ষোভে ‘বাঁশের লাঠি মিছিল হবে, শিবির তোমার মৃত্যু হবে’—এই ধরনের স্লোগান
শিক্ষাঙ্গনে সহাবস্থানের পরিবেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে।”
ঢাবি
শাখা সভাপতি এসএম ফরহাদ ও সেক্রেটারি মহিউদ্দীন
খান বিবৃতিতে আরও বলেন, "বামপন্থিদের সন্ত্রাসী স্লোগানের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিজেরাই প্রতিবাদ জানিয়েছে। হলপাড়ায় বামপন্থিদের মশাল মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে দুয়োধ্বনি দিয়েছে—এটি প্রমাণ করে যে ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস
ও সহিংসতার রাজনীতির জায়গা নেই।"
নেতৃবৃন্দ
বলেন, শিক্ষার্থীদের ‘শিবির’ ট্যাগ দিয়ে ‘হত্যাযোগ্য’ বানানোর ফ্যাসিবাদী ধারা শিক্ষার্থীরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে।
বিবৃতিতে
আরও দাবি করা হয়, বামপন্থিদের চলমান বিক্ষোভের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা তৈরি করে আসন্ন ডাকসু নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র চলছে। দুঃখজনকভাবে, এই কর্মসূচিতে ছাত্রদলের
ঢাবি শাখার কিছু নেতাকর্মীকেও অংশ নিতে দেখা গেছে, যারা উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন বলে দাবি করে শিবির।
নেতারা
বলেন, “শিক্ষার্থীদের সমর্থন না থাকায় এই
সংগঠনগুলো ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সবসময় অনীহা প্রকাশ করে এসেছে। আমরা মনে করি, চলমান উত্তেজনা আসন্ন ডাকসু নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্বাচনী উদ্যোগ নস্যাৎ করতেই এই পরিস্থিতি তৈরি
করা হচ্ছে, যা শিক্ষার্থীরা ঘৃণার
সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করছে।”