ছাত্রশিবিরের নেতারা এখন ছাত্রলীগের ভাষায় হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির।
রোববার (১ জুন) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মবের শিকার হয়ে আহত শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেত্রীকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নাছির উদ্দিন বলেন, “অতীতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা যে ভাষায় হুমকি দিতেন, আজ সাদিক কায়েম ও ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সেই ভাষায় হুমকি দিচ্ছেন। তারা এখন ছাত্রদলের নামে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছেন। অথচ তারা নিজেরাও এক সময় ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে ছিলেন। সাদিক কায়েম ছাত্রলীগের একাধিক পদে ছিলেন, আর বর্তমানে যিনি শিবিরের ঢাবি সভাপতি, তিনিও ছিলেন ছাত্রলীগের পদধারী।”
তিনি বলেন, “ছাত্রশিবিরের নেতারা এখন আমাদের হুমকি দিচ্ছেন, আর তাদের আচরণে ছাত্রলীগেরই প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে। কারণ তারা এত বেশি সময় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, যে আলাদা করে শিবিরের নামে নতুন কিছু শেখার প্রয়োজন হয়নি।”
চট্টগ্রামের কমার্স কলেজের সাম্প্রতিক ঘটনার প্রসঙ্গে নাছির উদ্দিন বলেন, “সেখানে শিবির ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বাধা দিয়েছে। আমাদের তদন্তে দেখা গেছে, দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা হয় একটি নির্দিষ্ট চুক্তি লঙ্ঘনের কারণে। সিদ্ধান্ত ছিল, কোনো ছাত্র সংগঠন ক্যাম্পাসের ভেতরে বুথ বসাবে না। কিন্তু ছাত্রশিবির সেই সিদ্ধান্ত ভেঙে ভেতরে বুথ স্থাপন করায় এই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এরপর তারা মিথ্যা প্রচারণা চালায় যে ছাত্রদল হামলা করেছে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “এই ঘটনার সময় ছাত্রলীগের দুইজন কর্মীর সঙ্গে রাবেয়া তাহসিন মুনের সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এরপরই তার ব্যক্তিগত নম্বর এবং ছবি এডিট করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যাতে তাকে সামাজিকভাবে হেনস্তা করা যায়।”
গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ছাত্রদলের এই নেতা বলেন, “দুঃখজনকভাবে কিছু গণমাধ্যম যাচাই-বাছাই ছাড়া মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেছে। এমনকি ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সেই সংবাদ শেয়ার দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে এবং একটি মব তৈরি করার চেষ্টা করেছে।”
তিনি সবশেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “গণমাধ্যমের উচিত যেকোনো সংবাদের আগে যথাযথ যাচাই করে, সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য পরিবেশন করা।”