বাংলাদেশ ভারতকে ট্রানজিটের ক্ষেত্রে নানা সুবিধা দেয়ার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের কাছ থেকে নেপাল ও ভুটানে পণ্য রপ্তানির জন্য বাংলাদেশি পণ্যবাহী যানবাহনের জন্য ট্রানজিট সুবিধা চেয়ে আসছে।
মূলত বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে ১৯৭৬ সালে যে ট্রানজিট চুক্তি হয়েছিলো তাতে কিছুটা সংশোধনী এনে গত বছরের অগাস্টে রেলপথে নেপালকে ট্রানজিট সুবিধা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলো বাংলাদেশ।
সে অনুযায়ী চাঁপাইনবাবগঞ্জের রোহানপুর থেকে ভারতের সিঙ্গাবাদ হয়ে নেপালের বীরগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথে পণ্য পরিবহনের সুবিধা তৈরি হওয়ার কথা।
অর্থনীতিবিদ মুস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদেরকে বলছেন, ভারতের মধ্য দিয়ে নেপাল ও ভুটানের সাথে এ যোগাযোগ নিয়মিত হলে বাংলাদেশের মংলা, চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরের ব্যবহার বিস্তৃত হতো।
তিনি বলেন, ‘নিয়মিতভাবে ভারতীয় ভূমি ব্যবহার করে ভুটান ও নেপালে বাণিজ্যের জন্য একটা চুক্তি কিন্তু হয়েছে। কিন্তু এটা নিয়মিত হলেই তা বাংলাদেশের জন্য কার্যকর হবে। আবার তারাও বাংলাদেশের পোর্টগুলো ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য করতে পারবে।’
‘এক সময় বলা হতো ট্রানজিট হলে বাংলাদেশের বিপুল লাভ হবে। এখন বোঝা গেছে সেটার সম্ভাবনা কম। মূলত এটা ভারতের জন্য ভালো। প্রতিদানে সরাসরি আমাদের অর্থ পাওয়ার সুযোগ কম। এজন্যই সম্ভবত এটা নিয়ে আর আলোচনা হয়নি। চুক্তি হয়েছে বটে কিন্তু সেই অর্থ জিনিসপত্র ও মানুষের আদানপ্রদান কম। তাই এর প্রভাব চোখে পড়ার মতো নয়। এটা আসলে শুরু হয়নি।’
ভারতীয় রেলপথ দিয়ে বাংলাদেশ থেকে নেপালে ভুটান রপ্তানির জন্য ট্রানজিট সুবিধা পেলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
‘ভারতের একটা রাজ্য থেকে আমাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ভারতের আরেকটি রাজ্যে যাচ্ছে। এটাকে স্বাভাবিক ট্রানজিট বা ট্রান্সশিপমেন্ট বলা যায়না। যে চুক্তিই হোক না কেন বাংলাদেশের স্বার্থ ও নিরাপত্তার বিষয়টিকেও যেনো গুরুত্ব সহকারে আনা হয়। আমরা সেটিই সবসময় বলতে চেয়েছি।’
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট