× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও ঘটনাবহুল ২০২৪ সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

আঠারো শতকের শ্রেষ্ঠ কবি আল্লামা আলী রজা প্রকাশ কানু শাহ্ (রহঃ)

আরফাত হোসেন

১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:৪৯ পিএম

ছবিঃ সংগৃহীত

চট্টগ্রামে বনে-জঙ্গলে, পাহাড়-পর্বতে, নদীতে-সমুদ্রে অসংখ্য পীর আউলিয়া ও সূফী দরবেশ বিস্তৃত আছেন। পীর সাধক ও আউলিয়ায়ে কেরামের স্মৃতি বিজড়িত আকর্ষণীয় কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলায় ৯নং পরৈকোড়া ইউনিয়নে অবস্থিত ওষখাইন আলী নগর দরবার শরীফ।

ওষখাইন গ্রামে এমন একজন কবি সাহিত্যিক ও সুফি সাধক শাহ্‌ আলী রজা প্রকাশ কানু শাহ (রা:) ১৭৫৯ ইংরেজি মোতাবেক ১৭ শ্রাবণ ১১৬৫ বাংলা ১০ রবিউস সানি ১১৫৯ হিজরি সোমবার সোবহ্‌ সাদেকের সময় তশরিফ আনেন। এই মনীষী ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বক্কর ছিদ্দীক (রা:) এর বংশধর। শিশু হযরত আলী রজা (রা:) পিতা-মাতার তত্ত্বাবধানে তৎকালীন ধর্মীয় প্রথানুসারে তার পিতা-মাতার সান্নিধ্যে থেকে ৭ বছর বয়সে নামাজ রোজা কুরআন শিক্ষা মাছায়েলের কিতাবাদি প্রাথমিক শিক্ষাসহ প্রকৃতির জ্ঞান অর্জন করেন।

শৈশব থেকেই তাঁর জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে আধ্যাত্মিক আচরণ পরিলক্ষিত ছিল। হঠাৎ তাঁর পিতা মো: সাছির (রাঃ) ইন্তেকালে মায়ের উপর তার সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব অর্পিত হলে তিনি বালক হযরত আলী রজার লেখা পড়ার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।

এদিকে হযরত আমানত আল আরবি এর শিষ্য হযরত শাহ ছুফি কেয়ামুদ্দীন আউলিয়া (রা:) কে খেলাফত প্রদানপূর্বক বলেছিলেন যে, তোমার বিহার লক্ষ্ণৌতে কাজ নেই। তোমার কাজ আমার মুর্শীদের কাছে দেওয়া ওয়াদা রক্ষা করা তাই অতি শিঘ্রই তোমাকে খেলাফতের দায়িত্ব প্রদান করছি। পূর্ব বঙ্গের চাঁনখালী নদীর পশ্চিম পার্শ্বে (গন্তব্য জোয়ার) ওষখাইন গ্রামে হযরত ছিদ্দিকে আকবরের আওলাদ নবীজির চেরাগ হযরত শাহ্‌ আলী রজা কানু শাহ্‌ (রা:) হাতে আমার মুর্শীদের দেওয়া আমানত পৌঁছায়ে দেবে। তিনি মোরশেদের দেওয়া আমানত নিয়ে চাঁনখালীর পশ্চিম পার্শ্বে এসে বে-চেইন অবস্থায় পরৈকোড়া বাজারে বালক হযরত আলী রজা (রহঃ)’র দেখা হয়। আলাপ চারিতায় ওষখাইন গ্রামে এসে মা পরান (রা:) এর সাথে সাক্ষাৎ করে বালক হযরত আলী রজার (রা:) লেখা পড়ার দায়িত্বভার হাতে তুলে নেন। মা পরান (রা:) বালক হযরত আলী রজার দায়িত্বভার শাহ কেয়ামুদ্দীন আউলিয়া (রা:) হাতে তুলে দিতে পেরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। অবশেষে বালক হযরত আলী রজা (রা:) কে নিজ সংস্পর্শে রেখে ১৩ বৎসর বয়সে আধ্যাত্মিক জ্ঞানের ছবক দান করেন।

সাহিত্য জীবন : নেপালের রাজ দরবার থেকে সংগৃহীত ও বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যের ধর্মীয় সাধন সঙ্গীত তথা চর্যাপদ থেকে বাংলা সাহিত্যের সুত্রপাত হলেও আমরা মুসলিম সাহিত্যিকের কাব্য পাই ১৬ শতাব্দীতে। কবি শাহ্‌ মোহাম্মদ সগীর প্রথম মুসলিম কবি হিসাবে কাব্য রচনা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আঠারো শতকে আধ্যত্মিক সাধক, পীর, ও পণ্ডিত কবি হযরতুল আল্লামা আলী রজা (রঃ) এর কাব্য কীর্তির পরিচয় পাই। সাধন মার্গে তিনি বৈষ্ণব, তন্ত্র, যোগ ও সুফি সাধনার আশ্চর্য সমন্বয় করেন। তাঁহার রচনায় একদিকে ইসলামী সূফি তত্ত্ব ও অন্যদিকে হিন্দু যোগতন্ত্রের সমন্বয় বিশেষভাবে লক্ষণীয়। অষ্টাদশ শতকে জন্ম নিয়েও তিনি অসাম্প্রদায়িক ও উদারনীতির কবি ছিলেন। তিনি আরবি, ফার্সী, বাংলা, দেবনগরী ও সংস্কৃতি ভাষায় বিভিন্ন গ্রন্থ রচনা করেন।

আধ্যাত্মিক কবি হযরতুল আল্লামা শাহ্‌ সুফি আলী রজা (রঃ) যে সমস্ত গ্রন্থ রচনা করেন তা হল : (১) গোপ্ত তত্ত্বের আগম, (২) শাস্ত্রীয় আগম, (৩) দেহ বিচার আগম, (৪) জ্ঞান সাগর, (৫) সিরাজ কুলুব, (৬) ধ্যান মালা, (৭) শাহ্‌ নামা (৮) সৃষ্টি পত্তন, (৯) যোগ কালন্দর (১০) ষঠচক্র ভেদ, (১১) ইসলাম নামা, (১২) খাবনামা, (১৩) রাগ তাল নামা, (১৪) রফিকুচ্ছালেকীন, (১৫) রাহাতুর রুহ, (১৬) তারিফে রাসূল (দঃ), (১৭) অমর সিং। উপরোক্ত গ্রন্থ গুলো বিশ্লেষণ করলে এতে কয়েক শ্রেণির কাব্য পরিচয় পাওয়া যায়। যেমনঃ (১) প্রণয়োপখ্যান, (২) মুসলিম ধর্ম সাহিত্য, (৩) মুসলিম বৈষ্ণব পদাবলী, (৪) শাক্ত পদাবলী, (৫) সুফি সাহিত্য, (৬) সাওয়াল সাহিত্য, (৭) রাগতালনামা, (৮) তাল মালা, (৯) রাগ মালা, (১০) কবিরাজী চিকিৎসা শাস্ত্র, (১১)
জ্যোতিষ শাস্ত্র, (১২) ইসলামী শরীয়াহ ভিত্তিক মসায়েলা এছাড়াও তিনি সাত শতাধিক ভাবমূলক, ভক্তিমূলক, বন্দনামূলক ও তত্ত্বমূলক মারফতী গান রচনা করেন।

উপরোক্ত গ্রন্থ ছাড়াও হযরতুল আল্লামা আলী রজা (রঃ) এর স্বরচিত বিভিন্ন ধরনের দাওয়াত, দরুদ, কেয়াম মিলাদ, জিকির ছাড়াও ঈদুল আযহার খোৎবা, সুরা ফাতেহার তাফছীর, বিভিন্ন হাদিছ সহ মুরীদ ও তলকীন করার নিয়ম বিষয়ক অনেক কিতাব আওলাদে আলী রজা পাকগণের নিকট সংরক্ষিত রয়েছে।

আলী রজা প্রকাশ কানু শাহ’র উত্তরাধিকারী পীরজাদা আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদুল্লাহ রজায়ী ও ‘হাফেজ ক্বারী মৌলানা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দীন সিদ্দিকী’ এর সূত্রে জানা যায় তিনি প্রায় শতাধিক কিতাবাদি রচনা করেছেন। এছাড়া এক হাজারেরও অধিক ইসলাম ধর্মীয় দাওয়াত ও সাড়ে সাতশত সঙ্গীত রচনা করেন। এসকল কিছুর কিয়ুদংশ তাঁর উত্তরাধিকারী গণ ছাড়া ও বাংলা একাডেমি, কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় যাদুঘর সহ তাঁর অসংখ্য ভক্ত মুরিদগণদের নিকট বিক্ষিপ্ত ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তন্মধ্যে তার স্বহস্তে লিখিত ইসলাম ধর্মীয় দাওয়াত গুলো সুস্থতার নিয়তে ও বিপদ আপদ থেকে মুক্তির নিয়তে তাঁর মুরিদগণ কয়েকশ বছর ধরে এখনো পাঠ করে আসছেন। আর আধ্যাত্মিক সঙ্গীতগুলো ও পরম মমতায় তাঁর ভক্ত আশেকগণ পাঠ করে আসছেন। তাঁর রচিত কবিতা ‘মনের মহিমা’ ১৯৬৬-৬৭ ইং সনে একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত ছিল।

আলী রজার সবচেয়ে আলোচিত ও প্রশংসনীয় গ্রন্থ ‘জ্ঞানসাগর’। ১৩২৪ বঙ্গাব্দ তথা ১৯১৭ সালে আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ কর্তৃক সম্পাদিত জ্ঞানসাগরের ভূমিকায় তিনি লিখেন ‘এই গ্রন্থের নাম “জ্ঞান সাগর”। ইহার এরূপ নাম হইল কেন, কবির মুখে তাহার কোন কৈফিয়ত না থাকিলেও গ্রন্থখানি যে অস্বর্থনামা হইয়াছে, তাহা উহার পাঠক মাত্রকেই স্বীকার করিতে হইবে। ইহা একখানি দরবেশী গ্রন্থ। ইহার প্রায় আদ্যোপান্ত নিগূর্ঢ আধ্যাত্মিক কথায় পরিপূর্ণ। সে আধ্যাত্মিকতায় আবার হিন্দু মুসলমানী ভাবের সংমিশ্রণ দেখা যায়। গুরুপদেশ ব্যতিরেকে এরূপ গ্রন্থের মর্ম পরিগ্রহ করা বা অন্যকে বুঝান সম্ভব নহে। আমরা অনধিকারী, ফকিরী পথের পথিক নহি। গ্রন্থের মূল প্রতিপাদ্য কি, তাহাও সহজে বুঝিয়া লওয়া কঠিন। ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত অসম্পূর্ণ ‘জ্ঞানসাগর’ ড. আহমদ শরীফের বাঙলার সূফী সাহিত্য গ্রন্থে পুনর্মুদ্রিত হয়। অসম্পূর্ণ জ্ঞানসাগর পুনমূর্দণের পূর্বে উল্লিখিত আদ্যাংশ সেখানে উপস্থাপন করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল, অসম্পূর্ণ জ্ঞানসাগর’-কে সম্পূর্ণ করা। কিন্তু গ্রন্থটিতে আদ্যাংশটি সম্পূর্ণরূপে উপস্থাপিত হয়নি। যেখানে গিয়া তা শেষ হয়েছে মনে করা হয়, এর পরেও আরো অনেক লিখা অবশিষ্ট ছিল। সাহিত্যবিশারদ ও ড. শরীফের এ সম্পর্কে কোন রকম ধারণাই ছিল না! আলী রজার বর্তমান বংশধরদের কাছে সংরক্ষিত ‘জ্ঞানসাগর’-এর অনুলিপিতে পাওয়া যায় এর বাকি অংশ।
আলী রজার জ্ঞানসাগর নিয়ে দেশ-বিদেশে এখন পর্যন্ত প্রচুর গবেষণা হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য গবেষণা করেছেন ‘কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তসংস্কৃতি ও মুসলিম স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর’ “ডক্টর ডেবিড জি ক্যাসিন”। তিনি আলী রজার ‘জ্ঞানসাগরের’ ইংরেজি (The Ocean Of Love) অনুবাদ করেন।

শুধু তাই নয় তার গবেষণা কাজকে এগিয়ে নিতে তিনি প্রায় ছয় বছর বাংলাদেশে ছিলেন এবং বাংলা ভাষা রপ্ত করেন। জ্ঞানসাগরের ইংরেজি অনুবাদের ভূমিকায় তিনি লিখেন, ‘বাংলা সাহিত্যে মুসলিম দের অবদান কে খুবই কম গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, বিশেষত মধ্য যুগের বাংলা সাহিত্যের সময়কালে। সেসময় মুসলিম কবিদের লিখিত পান্ডূলিপিগুলো তেমন সহজলভ্য ছিল না, কিন্তু যা পাওয়া যেত সেগুলোকেও তেমন গুরুত্বের চোখে দেখা হত না। এই পরিস্থিতি কে এখন পুনরায় বিবেচনায় আনা উচিত। আমি আশা করছি আমার এই গবেষণা ও অন্যান্য কাজ যা আমি করছি, তা বিশাল ও চিত্তাকর্ষক এই সাহিত্য জগৎ কে পশ্চিমা বিশ্বে তুলে ধরবে। আলী রজার সাহিত্য জগৎ কে তুলে ধরতে গিয়ে তিনি কড়া সমালোচনা করেন প্রখ্যাত গবেষক ‘ডক্টর এনামুল হকের’। ক্যাসিন বলেন, ‘এনামুল হক কর্তৃক রচিত “মুসলিম বাংলা সাহিত্য (প্রকাশকাল ১৯৬৫)” বাংলাদেশের মুসলিম কবিদের সাহিত্য নিয়ে রচিত হলেও এই বইটি ও পক্ষপাতের ঊর্ধ্বে নয়। আলী রজাকে নিয়ে তার মন্তব্য ছিল মাত্র এক পৃষ্ঠার মধ্যে সীমাবদ্ধ।

হযরত শাহ্‌ কেয়ামুদ্দিন আউলিয়া (রা:) নিজেই হযরত শাহ আলী রজা (রা:) কে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বেলায়তের শক্তি এলমে তাসাউফ এবং তত্ত্বজ্ঞানের গভীরতা দেখে ত্বরিকায়ে চিশতীয়া ও তরিকায়ে মোজাদ্দেদীয়া ছিলছিলার খেলাফত প্রদান করেন। যা তাঁর দাদা পীর হযরত সৈয়দ আমানত আল-নয়ামী আল আরবি কর্তৃক গুরু শাহ্‌ কেয়ামুদ্দীন আউলিয়াকে দেওয়া হয়েছিল।

উল্লেখ্য যে, তার গুরু শাহ কেয়ামুদ্দিন আউলিয়া (রা:) তাকে কানু নামে ডাকতেন। হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রা:) এর অধস্তন আউলাদ মজজুবে ছালেকীন শামসুল বেলায়তে মারফতে রহুল আশেকান হযরত পেশ ওয়ায়ে ছারেকান সৈয়দ জিয়াউদ্দিন আহমদ (রা:) এর নিকট হতে কাদেরীয়া নক্‌শবন্দীয়া ও ছরওয়ারদীয়া ত্বরিকার খেলাফত লাভ করেন। হযরত শাহ আলী রজা (রা:) দীর্ঘকাল আপন মুর্শীদের খেদমতে শরীয়ত ত্বরিকত হাকিকত ও মারেফতের প্রতিস্তর অতিক্রম করে বেলায়তের উচ্চ আসন লাভ করেন। তিনি অত্যন্ত কঠিন মেহনত ও ৩৬ বছর অরণ্য এবং খানকায় বেয়াজতের পর তার মুর্শিদ আধ্যাত্মিক মসনদের সিংহাসনে আসিন করেন এবং বেলায়তে সম্রাট খ্যাতিতে ভূষিত করে খেলাফতের সম্মানী বেলায়তের তাজ (মুকুট) তাঁর ছের মোবারকে পরিয়ে দেন। হযরত শাহ্‌ আলী রজা কানু শাহ্‌ (রা:) এর সর্ব শ্রেষ্ঠ অবদান ও কারামত তাহার নির্দেশিত বিষু মোবারক প্রতি বছর আষাঢ়ের শেষ ও পৌষের শেষ ৩দিন বিষু মোবারক পালিত হয়। ইহা কেবলমাত্র বাবাজান কেবলার ত্বরিকত পন্থীদের জন্য প্রযোজ্য বিধায় সর্ব সাধারনের জ্ঞাতার্থে প্রকাশ করা সম্ভব হয় না। তথাপি বিষুর তাৎপর্য সম্পর্কে তার রচিত আধ্যাত্বিক গ্রন্থ জ্ঞান- সাগর নামক গ্রন্থে পাওয়া যায়।বিষু ঋতু ভাগ্যের মর্ম, যে সকলে জানে জিয়ন মরণ পন্থ শুদ্ধ মতে চিনে।

তার অসংখ্য কারামত জনশ্রুতি আছে। আলী রজার অসংখ্য ভক্ত ও মুরিদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন বাংলাদেশের নানা প্রান্তে। তাঁর মনোনীত আধ্যাত্মিক খলীফা গণের মাজার শরীফ ও রয়েছে দেশ- বিদেশের বিভিন্ন জায়গায়। ১৮৩৭ ইং সনে রোজ বুধবার ৭৮ বৎসর বয়সে ধরা ত্যাগ করেন এই মহান কবি ও আধ্যাত্মিক সাধক। প্রতি বছর ১৩,১৪ ও ১৫ জানুয়ারী  তাঁর বার্ষিক ওরশ শরীফ উপলক্ষে লক্ষ আশেকের মিলন মেলা বসে তার মাজার শরীফে।

পথ পরিচিতি-কর্ণফুলী শাহ্ আমানত ব্রীজ থেকে আনোয়ারা ছত্তারহাট বাসযোগে ছত্তারহাট নেমে সিএনজি বা রিক্সাযোগে ওষখাইন আলী নগর দরবার শরীফ।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.