কত রের্কড, কত গল্প ও কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই মাঠের সঙ্গে। উত্থান পতনের স্বাক্ষী এই মাঠ। রিয়াল মাদ্রিদ ও স্যান্টিয়াগো বার্নাব্যু যেন একসূত্রে গাঁথা। এটি রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠ। গত অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে রিয়াল মাদ্রিদের সমার্থক হয়ে থাকা এই নামটিই এবার বদলে যাচ্ছে।
স্যান্টিয়াগো বার্নাব্যু থেকে বদলে রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠের নামকরণ করা হচ্ছে “দ্যা বার্নাব্যু”। ব্যবসার খাতিরে এমনটা করতে যাচ্ছে ক্লাবটি বলে জানিয়েছে স্পেনের সংবাদমাধ্যম মার্কা।
রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠের নাম ১৯৫৫ সালের ৪ জানুয়ারি স্যান্টিয়াগো বার্নাব্যু করা হয়। ক্লাবটির সাবেক খেলোয়াড়, কোচ ও প্রেসিডেন্ট সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর নামে স্টেডিয়ামের এই নামকরণ করা হয়।
লস ব্লাঙ্কোস ১৯৫৫ সালের ৪ জানুয়ারি স্যান্টিয়াগো বার্নাব্যু নামটি স্থাপন করেন এবং ক্লাবের প্রাক্তন খেলোয়াড়, ম্যানেজার এবং একই নামের সভাপতিকে সম্মান জানাতে ব্যবহৃত হয়। তারপর থেকে এটি বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত ক্রীড়া স্টেডিয়ামে পরিণত হয়েছে। ৮৫ হাজার ধারণক্ষমতার স্পেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও ইউরোপের তৃতীয় বৃহত্তম এই স্টেডিয়ামটি উদ্বোধন করা হয়েছিল ১৯৪৭ সালে।
এক সময় রিয়ালে খেলেছেন বার্নাব্যু, অধিনায়কও ছিলেন। খেলা ছাড়ার পর পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। এরপর দায়িত্ব নেন প্রেসিডেন্টের। খেলুড়ে ক্যারিয়ার ছাপিয়ে ক্রীড়া সংগঠক হিসেবেই অমর হয়ে থাকবেন তিনি।
প্রায় ৩৫ বছর রিয়াল মাদ্রিদের প্রেসিডেন্ট ছিলেন বার্নাব্যু। তার সময়ে রিয়াল মাদ্রিদ ৬টি ইউরোপিয়ান কাপ, ১৬টি লা লিগা, ৬টি স্প্যানিশ কাপসহ নানা শিরোপা জেতে। অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের পর রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি পরা বার্নাব্যুকে রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসের সেরা প্রেসিডেন্ট বলা হয়। তিনি ১৯৭৮ সালে ৮২ বছরে বয়সে মারা যান।