বিপিএল ২০২৫ আসরের সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ঘটনার সাক্ষী হল আজ দর্শকরা। সাগরিকায় আজ দুর্বার রাজশাহীর কাছে ২৪ রানে হেরে টানা ৮ ম্যাচ জয়ের পর প্রথম হারের স্বাদ পেলো রংপুর রাইডার্স।

আজ (২৩ জানুয়ারি) চটত্তগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে তাসকিন বাহিনী।

ওপেনার মোহাম্মদ হারিস চার বাউন্ডারিতে ১৯ করে দ্রুত প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটা ধরলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৫২ রানের জুটি গড়েন সাব্বির হোসেন এবং আনামুল হক বিজয়। 

৪ চার ও ৩ ছক্কায় ১৯ বলে ৩৯ রান করে খুশদিল শাহ-এর বলে ঘায়েল হন সাব্বির।

এরপর ক্রিজে এসেই গোল্ডেন ডাক মেরে বিদায় হন রায়ান বার্ল।

এরপর শুরু হয় ইয়াসির রাব্বি ঝড়! ৩২ বলে ৬২ রানের ইনিংসে দুই বাউন্ডারির সাথে হাঁকিয়েছেন ৬টি ছক্কা।  

আনামুল হকের সাথে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৭৬ রান যোগ করেন ইয়াসির।

এই দুই ব্যাটারকেও ঘায়েল করেন খুশদিল শাহ। ইয়াসির রাব্বিকে কট বিহাইন্ডের ফাঁদে ফেলে ঝড় থামান খুশদিল। আর আনামুলকে রান আউট করেছেন তিনি।

২০০ পেরোনো সংগ্রহের দিকে দুর্বার গতিতে এগুতে থাকা রাজশাহী এই জুটি ভাঙার পর আচমকা খেই হারিয়ে ফেলে। পাকিস্তানি পেসার আকিফ জাভেদ এর বোলিং তোপে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে রাজশাহীর মিডল ও লেট মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা। 

৯ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রানে থামে রাজশাহীর ইনিংস। রংপুরের হয়ে খুশদিল শাহ এবং আকিফ জাভেদ ৩টি করে উইকেট নেন।

পুরো টুর্নামেন্টে উড়তে থাকা রংপুরের জন্য কোনটা চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য আর কোনটা সহজ তা বলা মুশকিল বটে।

দুই ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ৪ রান। স্টিভেন টেইলর ৪ রান করলেও ইরফান শুক্কুর যোগ করেন শূন্য। চারে ব্যাট করতে নেমে ইফতিখার আহমেদও ডাক মেরেছেন।

তিনে ব্যাট করতে নামা সাইফ হাসান ২৯ বলে ৪৩ করে বিদায় হন। যাবার আগে খুশদিল শাহ এর সঙ্গে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৪০ রান তোলেন এই ব্যাটার।

এদিকে খুশদিল শাহকে বাগে পেয়ে প্রতিশোধ নিতে ভুল করলেন না সাব্বির হোসেন। সাব্বির হোসেনের বলে ইয়াসির রাব্বির বলে ক্যাচ তুলে ১৪ রান করে বিদায় হন খুশদিল। 

৫৫ রানে ৪ উইকেট হারালে দৃশ্যপটে আবির্ভাব 'নায়ক' নুরুল হাসান সোহানের। ক্রিজে এসেই হাত চালিয়ে খেলা শুরু করেন। তাকে সঙ্গ দেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। তাই রংপুরের জয়ে কোনো প্রকার বাঁধা দেখা যাচ্ছিল না। 

সারাদিন কুয়াশায় ঢাকা চট্টলায় বিকেলের ঝলমলে রোদে জ্বলে ওঠেন রায়ান বার্ল। গোল্ডেন ডাক মারার আক্ষেপ পুষিয়ে দিতে এদিন বল হাতে রংপুরকে একাই 'বাঁশ' উপহার দেন রায়ান। 

শেখ মেহেদির উইকেট দিয়ে শুরু। এরপর ফেরত পাঠান ক্যাপ্টেন নুরুল হাসান সোহানকে। সোহান ২৬ বলে করেছিলেন ৪১ রান। সব সিনেমায় 'নায়ক' জেতেন না। একদিন না একদিন তাকে হারতেই হয়। 

এরপর মোহাম্মমদ সাইফুদ্দিনকেও বিদায় করে রংপুরের প্রথম হার নিশ্চিত করেন রায়ান বার্ল। 

২২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন জিম্বাবুইয়ান এই অলরাউন্ডার। 

এই জয় দিয়ে কোয়ালিফায়ারের লড়াইয়ে আবারও শীর্ষ চারে উঠে এসেছে দুর্বার রাজশাহী।