বিপিএল ২০২৫
আসরে কাগজে-কলমে অন্যান্য দলের তুলনায় খানিকটা খর্ব শক্তির দল সিলেট স্টাইকার্স। তবে
গতবারের তুলনায় এবার সিলেট শিবিরে ভাল পারফর্ম করা খেলোয়াড়দের তালিকাটা লম্বা। আবার
আগের তুলনায় এবার বেশকিছু ইন-ফর্ম ক্রিকেটারকে দলে ভিড়িয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। তবুও
পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকায় দলটির আরিফুল হক আক্ষেপ প্রকাশ করে বললেন, সব চোট যেন
তাদেরই পিছু নিয়েছে।
সিলেট স্ট্রাইকার্সের
একাদশে তিনজন নিয়মিত উইকেটকিপার-ব্যাটার থাকা সত্ত্বেও সবাই চোটের কবলে পড়েছেন। তাই
উইকেটের পেছনে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে অনিয়মিত রনি তালুকদারকে।
আবার ক্যারিবীয়
তারকা অলরাউন্ডার রাকিম কর্ণওয়ালকে চোটের কারণে টুর্নামেন্টের মাঝপথেই নিজদেশে ফিরে
যেতে বাধ্য হয়েছেন।
এ বিষয়ে ক্যাপ্টেন
আরিফুল বলেন, '(নিজেদের) দুর্ভাগা তো মনে হচ্ছেই। রাকিমের (কর্নওয়াল) পুরো মৌসুম খেলার
কথা ছিল। সেও এসে চোট পেয়ে চলে গেল। এখন দলের সবাই মনে হয় ইনজুরড। ব্যাক-আপ ক্রিকেটার
বলতে কেউ নেই। ভাঙাচোরা (দল) নিয়েই খেলতে হচ্ছে।'
'আমাদের উইকেটকিপার
চারটা। চারটা কিপার থাকার পরও আমাদের রনিকে কিপিং করতে হচ্ছে। কারণ, জাকের আলি অনিকের
ব্যাকে লাগা (পিঠের সমস্যা), জাকিরের হাঁটুতে লাগা (চোট), জর্জ মানজি'র আঙুলে লাগা
(চোট)। ওরা কেউ কিপিং করতে পারছে না। বিষয়টা এমন যে, এখন রনিকে দিয়ে আমাদের কিপিং করা
হচ্ছে।'-যোগ করেন তিনি।
ফ্র্যাঞ্চাইজিটির
অন্যতম সেরা পেসার তানজিম সাকিবও চোটের কারণে মাঠের বাইরে। এ নিয়ে আরিফুল বলেন, 'আরেকটা
হলো আমাদের সাকিব (তানজিম হাসান)। ওর হাঁটুতে লাগছে, আমরা চট্টগ্রামে ওকে পাইনি। আমাদের
বোলিং শক্তিও কমে গেছে এখানে। আজকে নাহিদকে নিয়ে আমরা পরিকল্পনা করছিলাম যে ওকে খেলাব।
কিন্তু ওর ব্যাকে (পিঠে) লেগেছে। যত কিছু আছে, আমাদের দলে সব একসঙ্গে শুরু হয়ে গেছে।
আমাদের এখন ১১ জন করাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে।'