পারিশ্রমিক ইস্যু, 'দুর্বল' রাজশাহী ট্রল ইত্যাদি মাঠের বাইরের সমস্ত বিতর্ক পেছনে ফেলে মাঠের খেলায় প্রমাণ দিল রাজশাহী সত্যিই দুর্বার। মিরপুর শের-ই- বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ (২৭ জানুয়ারি) সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টানা তিন জয়ে লিগ পর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিলের তিনে চলে এসেছে তাসকিন বাহিনী।
আজকের ম্যাচটা সিলেটের জন্য নিয়মরক্ষার হলেও রাজশাহীর জন্য ছিল বাঁচামরার লড়াই।
বিদেশি প্লেয়ার পেয়ে পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে নেমে টসে জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন দুর্বার রাজশাহীর অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ।
দুর্বার রাজশাহীর বোলিং তোপে সিলেট স্ট্রাইকার্সের ব্যাটাররা দিন মাত্র ১১৭ রান তুলতে সমর্থ হয়।
মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী আর তরুণ মেহেরব হোসেনের অ্যাটাকিং বোলিংয়ের সামনে ২ অঙ্কের ঘরে রান করেছেন মাত্র চার ব্যাটার। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন আহসান ভাট্টি। জাকির হাসান ২৪ রানে মেহেরবের শিকার হন। শেষদিকে সুমন খান ১১ বলে ২০ রানের একটি ক্যামিও খেললে ১১৭ রান তোলে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ৩৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন। আর ২১ বছর বয়সী তরুণ অফস্পিনার মেহেরব মাত্র ১৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
রাজশাহীর জিততে চাই মাত্র ১১৮ রান। কিন্তু সিলেটের তানজিম হাসান সাকিব এবং জেগেসার রাজশাহীর ২২ রান হতে না হতেই টপ অর্ডারের চার উইকেট দখল করে বিপদে ফেলে তাসকিন বাহিনীকে।
আনামুল হক বিজয় আর সাব্বির হোসেন কে ডাক উপহার দেন তানজিম সাকিব।
এরপর আর পেছনে তাকায়নি দুর্বার রাজশাহী। পঞ্চম উইকেট জুটিতে আকবর আলী আর রায়ান বার্লের ৭৫ রানের জুটিতে ভর করে হ্যাটট্রিক জয় তুলে নেয় রাজশাহী।
আকবর আলি ৫ চার এবং ২ ছক্কায় ৪৩ বলে আহসান ভাট্টির বলে আউট হয়ে যান।
৩৪ বল খেলে আকবর আলির সমান ৫ চার এবং দুই ছক্কায় ৩৪ বলে ৪৮ রান করে অপরাজিত থেকে দলকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন রায়ান বার্ল।
দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন মেহেরব হোসেন।
এই ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ তিনে এসে লিগ পর্ব শেষ করল দুর্বার রজশাহী।
রংপুর রাইডার্স আর ফরচুন বরিশালের প্লে অফ নিশ্চিত। কিন্তু তৃতীয় এবং চতুর্থ টিমের জন্য এখনও কিছু সমীকরণ বাকি। সিলেট স্ট্রাইকার্স আর খুলনা টাইগার্সের বিদায় নিশ্চিত। এখন তাই রাজশাহী প্লে অফের অপেক্ষায়।