ওয়েস্ট
ইন্ডিজের বিপক্ষে সাময়িক দায়িত্ব নিয়ে নেতৃত্বে সবার মন জয় করেছিলেন
লিটন দাস। সেই ধারাবাহিকতায় আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
পর্যন্ত জাতীয় দলের পূর্ণকালীন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
তবে এই দায়িত্বে তিনি
মোটেও চাপ অনুভব করছেন না—বরং এটিকে
দেখছেন একটি ইতিবাচক সুযোগ হিসেবে।
আজ
(১২ মে) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয়
ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়কত্ব নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানান লিটন।
তিনি
বলেন, চাপের কিছু নেই। আমি যখন অধিনায়ক ছিলাম না তখনও পারফরম্যান্স
খারাপ ছিল না, এমন না যে এখন
খারাপ হবে। অধিনায়কত্ব একটা প্লাস পয়েন্টও হতে পারে। আমি বিশ্বাস করি, যারা ইতিবাচকভাবে চিন্তা করে, তারা হয়তো তাতক্ষণিকভাবে ব্যর্থ হয়, কিন্তু ফলাফল আসেই। আমি ওই জায়গায় আছি,
ইতিবাচকভাবে ভাবছি যেন ভালো ফল পেতে পারি।
নতুন
দায়িত্বের সঙ্গে তার পরিকল্পনাতেও এসেছে পরিবর্তন। লিটন জানান, আগে যা পরিকল্পনা ছিল
তা তাৎক্ষণিক কোনো সিরিজকে কেন্দ্র করেই ছিল। কিন্তু এখন যেহেতু দীর্ঘ মেয়াদে দায়িত্ব পেয়েছি, আমার চিন্তাভাবনাও এখন ভবিষ্যতকেন্দ্রিক। আমি জানি যে সামনে একটা
লক্ষ্য আছে। অবশ্যই প্রতিটি সিরিজ গুরুত্বপূর্ণ, তবে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই এগোবো।
দলের
উন্নতি নিয়ে নিজের ভাবনার কথা জানাতে গিয়ে লিটন বলেন, বাংলাদেশ দলকে এগিয়ে নিতে হলে ক্রিকেটারদের দায়িত্ববোধ বাড়াতে হবে। আমাদের সবার নিজেদের দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করা জরুরি। বিসিবির সঙ্গে তো যোগাযোগ থাকবে,
তবে তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেব খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগে—তারা কী চায়, কোন
জায়গায় উন্নতি প্রয়োজন। আমি এখনো নতুন, তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বের সাথে আরও ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পারব।
বিশ্বকাপের
দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ দলের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। লিটনের নেতৃত্বে দলের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে—এমনটাই প্রত্যাশা করছে ক্রিকেটপ্রেমীরা।