সুইজারল্যান্ডের
ঐতিহ্যবাহী শহর জেনেভায় আয়োজিত 'জেনারেলি জেনেভা ম্যারাথন ২০২৫'
(Generali Geneva Marathon 2025)-এ
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে সফলভাবে অংশগ্রহণ করেন তরুণ দৌড়বিদ উৎস কর। ৪২.১৯৫ কিলোমিটার
দীর্ঘ এই আন্তর্জাতিক ম্যারাথন
সম্পন্ন করতে উৎসের সময় লাগে ৫ ঘণ্টা ৫৪
মিনিট, যা একটি উল্লেখযোগ্য
ক্রীড়াবিষয়ক অর্জন।
গত ১০-১১
মে দুই দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত এই ম্যারাথনে বিশ্বের ১৩৮টি দেশ
থেকে প্রায় ২৫,৪০০ দৌড়বিদ
অংশ নিয়েছিলেন এই প্রতিযোগিতায়। এর
মাঝে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে উৎস একটি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন, লাল-সবুজের পতাকা হাতে ছুঁয়ে দেন ফিনিশ লাইন।
উৎস
এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এটা শুধু ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়িয়ে বড় একটি সম্মান।
ম্যারাথনের প্রতিটি ধাপে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার গর্ব অনুভব করেছি।
উৎস
করের যাত্রা ও অনুপ্রেরণা
উৎস
কর বর্তমানে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা করছেন। এর আগে তিনি
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার পরিচালিত একটি বৃত্তির অধীনে সুইজারল্যান্ডে পড়াশোনা শুরু করেন। তার দৌড়ের প্রতি আগ্রহের শুরু ২০২৩ সালে।
শরীরচর্চা
ও মানসিক প্রশান্তির জন্য শুরু করেছিলেন দৌড়। ধীরে ধীরে অংশ নেন ঢাকার বিভিন্ন হাফ-ম্যারাথনে, যেখানে তিনি আত্মবিশ্বাস ও দক্ষতা অর্জন
করেন। এরপরই লক্ষ্য স্থির করেন আন্তর্জাতিক ম্যারাথনে অংশগ্রহণের।
ম্যারাথনের
অভিজ্ঞতা
জেনেভার
রাস্তায় পাহাড়ি উতরাই-নামাই, ঠাণ্ডা আবহাওয়া এবং দীর্ঘ পথ — সবকিছুই ছিল চ্যালেঞ্জিং। উৎস বলেন, জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল
এটা। তবে ফিনিশ লাইন ছুঁয়ে যখন দেশের পতাকা উড়ালাম, তখন সব কষ্ট ধুয়ে
গেল।
বাংলাদেশের
জন্য বার্তা
উৎসের
বিশ্বাস, বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীরাও বিশ্বমঞ্চে অংশ নিতে পারে। তিনি বলেন, আমাদের দেশে প্রতিভার অভাব নেই। দরকার শুধু প্রস্তুতি, আত্মবিশ্বাস ও আন্তর্জাতিক পরিসরে
পৌঁছানোর ইচ্ছা।
তিনি
আরও বলেন, বাংলাদেশে দৌড় এবং খেলাধুলাকে জনপ্রিয় করে তুলতে হলে সরকারি ও বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতার
পাশাপাশি সামাজিকভাবে ক্রীড়াচর্চার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।