পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) লাহোর কালান্দার্সের হয়ে খেলতে নেমে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। একদিকে তার দল টানা তিনটি ম্যাচ জিতে জায়গা করে নিয়েছে ফাইনালে, অন্যদিকে ব্যাট-বলে একেবারেই নিষ্প্রভ ছিলেন সাকিব। পারফরম্যান্সের পাশাপাশি তিনি গড়েছেন একটি লজ্জাজনক রেকর্ডও।
শুক্রবার (২৩ মে) পিএসএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিপক্ষে মাঠে নামে লাহোর কালান্দার্স। ম্যাচে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ২০২ রান তোলে লাহোর, কিন্তু সেই বিশাল সংগ্রহে কোনো অবদান রাখতে পারেননি সাকিব। তিনি মাত্র ২ বল খেলে টাইমাল মিলসের বলে ক্যাচ আউট হয়ে শূন্য রানে ফিরেছেন। বল হাতেও ছিলেন ব্যর্থ—৩ ওভারে খরচ করেছেন ২৭ রান, উইকেটের দেখা পাননি।
এ নিয়ে সাকিব টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ক্যারিয়ারে মোট ৩২ বার শূন্য রানে আউট হলেন, যা এখন বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ। এতদিন এই বিব্রতকর রেকর্ড ছিল সৌম্য সরকারের দখলে, যার শূন্য রানে আউট হওয়ার সংখ্যা ছিল ৩১। এখন তিনি আছেন দ্বিতীয় স্থানে।
সাকিবের জন্য টুর্নামেন্টের শুরুটাও ছিল হতাশাজনক। ১৮ মে, লাহোর কালান্দার্সের হয়ে অভিষেক ম্যাচে করাচি কিংসের পেসার আহমেদ দানিয়ালের প্রথম বলেই বোল্ড হন তিনি। সেই ম্যাচেও বল হাতে ২ ওভারে দেন ১৮ রান, উইকেটশূন্য থাকেন। এরপর এলিমিনেটর ম্যাচে বল হাতে ১ ওভারে ৪ রানে একটি উইকেট নিলেও ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ হয়নি।
সাকিবের যোগদানের পর থেকেই লাহোরের প্রতিটি ম্যাচ ছিল বাঁচা-মরার লড়াই। তবে দল জয় পেলেও তিনি ছিলেন অফফর্মে। ফলে, ব্যক্তিগত দিক থেকে তার জন্য পিএসএল এক হতাশার অধ্যায় হয়ে উঠেছে।
বিশ্ব টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বাধিক ‘ডাক’-এর তালিকাতেও সাকিব উঠে এসেছেন। ৩২ বার শূন্য রানে ফিরেছেন তিনি, তালিকায় আছেন অষ্টম স্থানে। তালিকার শীর্ষে রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সুনীল নারিন, যার ডাক সংখ্যা ৪৮। তার পরের অবস্থানগুলোতে রয়েছেন রশিদ খান (৪৫), অ্যালেক্স হেলস (৪৪), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৩৫), রাইলি রুশো (৩৩), পল স্টার্লিং (৩৩), এবং জেসন রয় (৩৩)।
বাংলাদেশিদের মধ্যে সাকিব ও সৌম্য সরকারের পর সবচেয়ে বেশি ডাক আছে ইমরুল কায়েসের (২২ বার), তামিম ইকবালের (২০ বার), এবং মুশফিকুর রহিমের (১৯ বার)।